জাতীয় ডেস্ক ।। ফের সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। রাতভর জম্মু সীমান্তে চলে পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর গুলি-গোলা। গতকাল রাত দশটা থেকে শুরু হয় গুলি বর্ষণ। আজ ভোর পাঁচটায় এসে বন্ধ হয় পাক বাহিনীর গোলা-গুলি। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও আহত হয়েছেন এক গ্রামবাসী। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সুচেতগড় এলাকায় বিএসএফ বাহিনীর আউটপোস্ট লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে পাক রেঞ্জার্সরা। সেইসময় আর এস পুরা সেক্টরে বছর ৩৮-এর সুভাষ চন্দর নামে এক ব্যক্তির পায়ে এসে লাগে গুলি। আহত সুভাষকে জম্মুর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর এই নিয়ে গত কয়েকদিনে পাঁচবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। হামলা চালাল ১২০ এমএম ও ৮২ এমএম মর্টার বোমা নিয়ে। মূলত আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও এলওসি এলাকাতেই হামলা চালিয়েছে পাক বাহিনী। পুঞ্চ, বালাকোট, হামিরপুর, আরএসপুরা এবং আরিনা সেক্টরে গুলি বর্ষণ চলেছে।
২০০৩ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি হয়ে সেই চুক্তি শুধুমাত্র এই বছর অগাস্টেই ৪৫বার লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং এই বছর মোট ২৪০বারের মতো লঙ্ঘন করা হল চুক্তি। আজ দুপুর একটা নাগাদ ফের ৮২ এমএম মর্টার বোমা ছোড়ে পাকিস্তানি সেনা জওয়ান পুঞ্চ এলাকার হামিরপুর সেক্টরে। বালাকোট সেক্টরে পাক বাহিনী হামলা চালানোর পর ভারতীয় জওয়ানদের তরফেও পাল্টা জবাব দেওয়া হয়।
এদিকে শ্রীনগরেও একটি পুলিশ পোস্ট লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গি গোষ্ঠী। শ্রীনগর থেকে ৫২ কিমি দূরে সোপোর এলাকায় এক মসজিদে পাহাড়ায় ছিল পুলিশ বাহিনী। সেই সময়ই হামলা করা হয়। এই হামলায় এক পুলিশকর্মী সহ একজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। যে পুলিশ পোস্টে আজ জঙ্গিরা হামলা চালায়, তারা ধর্মীয়স্থান সুলতান-উল-আরিফিন মখডুমেরও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন কনস্টেবল ফয়াজ আহমেদ। আপাতত তিনি সোপোরের এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে জানা গিয়েছে আহত কনস্টেবলের রাইফেলটি ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে জঙ্গিরা। এলাকায় নিরাপত্তা জোড়দার করতে আরও বেশি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তথ্যসূত্র – এবিপি নিউজ।