গোপাল সিং, খোয়াই, ২১ আগষ্ট ।। খোয়াইয়ের সিনিয়র ডেপুটি মেজিস্ট্র্যাট পঙ্কজ চক্রবর্তীর অশালীন কুরুচিকর মন্তব্য, গনতন্ত্রের স্তম্ভগুলি সম্পর্কে বিকৃত মন্তব্য এবং সাধারন জনগনের জমি দখল, ফল চাষ কেলেঙ্কারী, মেডিক্যাল বিল ক্যালেঙ্কারী বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগগুলির যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী নিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করার কথা ছিল যুব তৃনমূল কংগ্রেস খোয়াই বিভাগের। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত সূচী অনুযায়ী শুক্রবার জেলা শাসক এন.ডার্লং এর নিকট ডেপুটেশন প্রদান করতে গিয়ে দেখা যায় তিনি অফিসে অনুপস্থিত। এমতাবস্থায় তৃনমূল কর্মীরা অতিরিক্ত জেলা শাসক সন্তোষ কর্মকারের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করতে গেলে প্রথম থেকেই অত্যন্ত দূর্ব্য্যবহার করতে থাকেন তিনি। এমনকি অফিস থেকে বেরিয়ে যেতেও বলেন। শুধু তৃনমূল কর্মীদেরই নয়, উপস্থিত সাংবাদিকদেরও অত্যন্ত খারাপভাবে ইশারা করে অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এনিয়ে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। যুব তৃনমূল কংগ্রেস কর্মীরা এই দূর্ব্যাবহার সহ্য করেও ডেপুটেশনের প্রতিলিপি এডিএম এর হাতে তুলে দেন। কিন্তু তিনি তা গ্রহন করেও পুনরায় ফিরিয়ে দিয়ে তৃনমূল কর্মীদের অফিস থেকেই বেরিয়ে যেতে বলেন। ডেপুটেশন প্রদানকারীরা অফিস থেকে বেরিয়ে জেলা শাসকের অপেক্ষায় অফিসের সামনেই ধর্ণায় বসে পড়ে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রচন্ড অসন্তোষের মধ্যে খোয়াই যুব তৃনমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি শঙ্কু পাল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
এই চরম অবস্থার মধ্যেই প্রচুর জল ঘোলা হবার পর অবশেষে জেলা শাসক এন. ডার্লং অফিসে আসেন এবং যুব তৃনমূলের শ্মারকলিপি গ্রহন করেন।
শুক্রবার ঘটনার সূত্রপাত একটি সংবাদ সংগ্রহকে নিয়ে। খোয়াই এর সিনিয়র টিসিএস অফিসার কর্তৃক সোশাল মিডিয়াতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও নারীদের নিয়ে এবং সংবাদপত্র সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যকে ঘিরে স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দল ডেপুটেশন দিতে গেলে বাধে বিপত্তি। এই সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা শাসক সন্তোষ কর্মকার কর্তৃক নিগৃহীত হতে হয় সাংবাদিকদের। কিন্তু অতিরিক্ত জেলা শাসক সন্তোষ কর্মকার অত্যন্ত জঘন্যভাবে সাংবাদিকদের বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি কাউকে পাত্তা দিতে রাজি নন। তিনি যা বলবেন তাই নাকি হবে! এভাবেই সাংবাদিকদের অসম্মান করেন এবং সরাসরি বেরিয়ে যেতে বলেন। উক্ত ঘটনার তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খুদ জেলা শাসক অফিসের কর্মীরাই। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সকল সাংবাদিকরাই।