দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ২১ আগষ্ট ।। এই রাজ্যে আইন ভাঙ্গার যদি প্রতিযোগীতা হয় – তবে সেই প্রতিযোগীতায় প্রথম পুরস্কার নিঃসন্দেহে দখল করে নেবে শহরের অটোচালকরা। আইন গুলে খাওয়াই নয় একেবারে হজমের ক্ষেত্রেও এক নম্বরে অটোচালকরা। প্রকাশ্যে তিনের জায়গায় চার যাত্রী নিয়ে অহরহ অটো চলছে শহরে। ভাড়া নিয়ে ভাঁড়ামির কান্ড হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুক্রবার, অটোর ভাড়া নিয়ে বচসার পরিনতিতে দুপুর প্রায় একটা নাগাদ বটতলায় ধুন্দুমার কান্ড ঘটে যায়। অটো থেকে নেমে জনৈক ছাত্রী যাত্রী ভাড়া হিসেবে ৫ টাকা দিতে চাইলে চালক দাবী করেন ৭ টাকা, যাত্রী আইনের ধারায় যেখান থেকে উঠেছেন ভাড়া ৫ টাকার বেশী দেবেন না বলতেই আসর গরম হয়ে উঠে। শুরু হয় চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি, তারপর TR01-A-2538 নম্বরের অটোচালক ক্ষিপ্ত হয়ে সেই ছাত্রীকে যথেচ্ছ কিল, চড়, ঘুষিতে মাটিতে ফেলে বীরত্ব জাহির করে। অটোচালকের হাতে বেধরক মার খাওয়ার দৃশ্য বটতলার ব্যস্ত পথে পথচারীরা উপভোগ করলেও সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। ছাত্রী নিগ্রহ পর্বে শেষ দিকে হাজির হন ট্রাফিক কর্তারা। নিগৃহীতা ছাত্রী ট্রাফিক কর্তাদের কাছে যখন বিচারের আশায় ছুটে যান, ভাবলেশহীন ট্রাফিক বাবুরা অনিচ্ছায় শুনেছেন তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন হয়নি পাছে বটতলা থেকে পাততাড়ি গুটাতে হয়। তবে ঘটনাস্থলে ঘটনাস্থলে ডাকাবুকো নেতা সুদীপ দত্ত অভিযুক্ত অটোচালককে বাঁচাতে যে ভূমিকা নিয়েছেন তার বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। সুদীপ বাবুর সৌজন্যেই অভিযুক্ত অটোচালক গা ঢাকা দিতে পেরেছে বলে অভিযোগ। জানা গেছে, ছাত্রী পেটানোর দায়ে অভিযুক্ত অটো চালকের নাম লিটন শীল, বাড়ী ভট্টপুকুরের শুকতারা ক্লাবের পাশে। অটোচালকদের বিরুদ্ধে নিত্য অভিযোগের তালিকায় বটতলার ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় অনেকেই ইউনিয়নের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।