জাতীয় ডেস্ক ।। চাহিদা আছে, নেই জোগান। এই পরিস্থিতিতে আরও বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম। ৬০ বা ৭০-এর গণ্ডি ছাড়িয়ে এখনই দেশের বেশিরভাগ বাজারে কেজিপ্রতি ৮০ টাকা দরে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। কিন্তু, জোগানের অভাবে তা আরও বেড়ে ৯০ টাকা ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিন, বম্বে কৃষিপণ্য বাজার কমিটি (এপিএমসি) নির্দেশক অশোক ভালুঞ্জ জানান, আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে চলেছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পেঁয়াজের নতুন জোগান যা আগামী মাসে বাজারে আসার কথা, অধিকাংশই অনাবৃষ্টির ফলে ব্যাহত। অশোক যোগ করেন, পাকিস্তানের পেঁয়াজ ইতিমধ্যেই ভারতের বাজারে ঢুকেছে। আগামী সপ্তাহে মিশর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করছে কেন্দ্র। কিন্তু, তাতেও যে পেঁয়াজের দামে খুব একটা হেরফের হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এদিকে, দেশের বাজারে মহার্ঘ হতেই পেঁয়াজ-মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গিয়েছে। শনিবার মুম্বই শহরের সিওন এলাকার বাজারের একটি পাইকারি দোকান থেকে চুরি হয়েছে ৭০০ কেজি পেঁয়াজ। সোমবার নাসিকের বাজার থেকে চুরি হয়েছে ২০০০ কেজি পেঁয়াজ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কোথাও বেআনিভাবে পেঁয়াজ মজুত করা আছে কিনা তা দেখতে চলছে অভিযান।
পেঁয়াজের দাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। সোমবার দিল্লিতে বিজেপি দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসের মহিলা সমর্থকরা। অন্যদিকে, দিল্লি সরকারকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, দেশে পেঁয়াজের ফলন এবার মাত্র ৫ লক্ষ টন কম। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে মজুতদারদের জন্য। পাসোয়ানের পরামর্শ, রাজ্য সরকারগুলিকে এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে জোগান সামাল দিতে পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) এক লপ্তে প্রায় ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে টন-প্রতি ৪২৫ মার্কিন ডলার থেকে ৭০০ মার্কিন ডলার করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, পেঁয়াজ সংরক্ষণে অভিনব পরামর্শ দিয়েছেন মোদী সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদলও। তাঁর পরামর্শ, যখন পেঁয়াজের দাম কম থাকে, তখন তার পাউডার এবং পেস্ট তৈরি করে রাখলে পেঁয়াজের দাম বাড়লে কাজে লাগবে।