আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। খাইবার পাখতুনওয়ার করাক জেলার হিন্দু মন্দির পুনর্নির্মাণ করতে সুযোগ্য স্থাপত্যবিদ নিয়োগের নির্দেশ দিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি জাওয়াদ এস খাওয়াজার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ থারাপাকরের পিএমএল-এন সাংসদ রমেশ কুমার ভাঙ্কাওয়ানি, খাইবার পাখতুনওয়ার স্বরাষ্ট্র সচিব আরবাব মহম্মদ আরিফ এবং করাকের ডেপুটি কমিশনার শোয়েব জাদুনকে একসঙ্গে বসে তেরি গ্রামের শ্রী পরমহংস মহারাজ সমাধি মন্দির নতুন করে নির্মাণের বিষয়ে একটি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়েছেন, এই নির্দেশ অমান্য করা যাবে না এবং যেকোনও মূল্যে তা পালন করতে হবে। জাদুন আদালতকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, এর আগে ওই জায়গায় মন্দির পুনর্বহালের নির্দেশ পালন করা হয়েছে। মন্দিরের চারদিকে পাঁচিলও তোলা হয়েছে। নিজের বক্তব্যের প্রমাণ হিসেবে ছবিও জমা দেন তিনি।
কিন্তু তাঁর এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে, প্রাদেশিক প্রশাসন এক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। শুধুমাত্র পাঁচিল না গড়ে নতুন মন্দির নির্মাণের প্রস্তাব দেয় আদালত।
প্রধান বিচারপতি এ ব্যাপারে লাহোরে শাহালমি বাজারে স্থাপত্যবিদ কামিল খানের দ্বারা একটি মন্দির পুনর্নির্মাণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। কামিল খানের স্থাপত্য সংক্রান্ত ঐতিহ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা রয়েছে এবং ওই মন্দির পুনর্নির্মাণেরব্যাপারে বিনামূল্যে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
করাকের মন্দির সংরক্ষণের জন্য কামিল খানকেই আদালত আবার দায়িত্ব দিতে পারে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ সেপ্টেম্বর।
১৯১৯-এ প্রয়াত হিন্দু ধর্মগুরু শ্রী পরমহংসের সমাধি ঘিরে মন্দির, সৌধ গড়ে উঠেছিল। ১৯৯৭ পর্যন্ত ওই মন্দিরে তাঁর অনুগামীরা প্রার্থনা করতেন। কিন্তু এরপর কিছু ধর্মোন্মাদ ওই মন্দির ও সমাধি ভেঙে দেয়।
শ্রী পরমহংসের অনুগামীরা মন্দির পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেন। কিন্তু ততদিনে ওই মন্দির স্থানীয় মুফতি ইফতিকারউদ্দিনের দখলে চলে যায়।