আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক ‘নজিরবিহী’ সমঝোতা সম্ভব হয়েছে তার হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকার জন্য৷ শান্তি বৈঠকে আলাপ-আলোচনায় নৈপুন্য নয় বরং এই দাবি করলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং-উন। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সূত্রের খবর, সেদেশের কেন্দ্রীয় মিলিটারি কমিশনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সময় কিম জং-উন দুই কোরিয়ার শান্তি সমঝোতার জন্য কার্যত নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ান।
বৈঠকে কিম জং-উন বলেন, উত্তরের জন্যই ‘পুনর্গঠন এবং পারস্পরিক বিশ্বাসে’র এই রফা সম্ভব হয়েছে৷ মাঝে দুই দেশের সীমান্ত অর্থাৎ থার্টিএইট প্যারালালে পরিস্থিতি এতটাই সঙিন হয়ে ওঠে যে, উভয় দেশের মধ্যে যে কোনও সময় সংঘর্ষ বেধে যেতে পারত৷ শেষে ঐতিহাসিক পানমুনজং সীমান্ত গ্রামে হওয়া দিনরাত আলাপ-আলোচনা শেষে দু’পক্ষই আপাতত শান্তি সহাবস্থানের জন্য একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, শান্তি বজায় রাখতে উভয় দেশ পরবর্তী বৈঠকেও বসবে৷ কিম জং-উনের জেহাদ, দক্ষিণের সঙ্গে আলোচনায় বসতে উত্তর কোরিয়া রাজি৷ তবে তার মানে এই নয় যে, পিয়ং ইয়ং তার পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে দেবে৷ উত্তর কোরিয়ার স্বৈরতন্ত্রী শাসকের মতে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রই উভয় দেশের শান্তির রক্ষাকবচ৷
কিম ইল-সুংয়ের সুযোগ্য নাতির হুংকার, পানমুনজংয়ের রফা ‘কোনও আলোচনার টেবিলে সফল হয়নি, প্রচণ্ড সামরিক বল এবং আত্মরক্ষার্থে গড়া পরমাণু রক্ষার জন্যই সম্ভব হয়েছে’৷