জাতীয় ডেস্ক ।। মেয়াদের এক-চতুর্থাংশ সময় কেটে গেলেও ভাষণ দেওয়া ছাড়া মোদী সরকার কাজের কাজ কিছুই করেনি।
রবিবার পটনার গাঁধী ময়দানের স্বভিমান র্যালি থেকে নীতীশ-লালুকে পাশে বসিয়ে এভাবেই নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করলেন সনিয়া গাঁধী। সরাসরি আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে।
এদিন সনিয়া বলেন, আগে বিজেপির এক নেতা বলেছিলেন টাকার দাম পড়ছে প্রধানমন্ত্রীর গরিমা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এখন মোদীর গরিমা ক্ষুণ্ণ হয়নি। এখন মোদী মৌনব্রত নিয়েছেন।
নীতীশ-লালু হাত মেলানোর পর বিহারের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার কী পরিণতি হবে, এই প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। এদিন পাল্টা গুজরাতে হিংসার প্রসঙ্গ তুলে মোদীকে খোঁচা দেন লালুপ্রসাদ যাদব। আরজেডি সুপ্রিমো বলেন, মোদীজি গুজরাত নিয়ে কী বলবেন? ওখানে তো শ্যুট অ্যাট সাইট নির্দেশ দিতে হয়েছে।
সংরক্ষণের দাবিতে পটেলদের আন্দোলন ঘিরে দু’দিন আগে উত্তাল হয়ে গুজরাত। একাধিকজনের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে খোদ নরেন্দ্র মোদীকে আহ্বান করতে হয়। এদিনের স্বভিমান র্যালি থেকে ফের একবার মোদির ডিএনএ মন্তব্য প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ শানান নীতীশ কুমার।
তিনি বলেন, বিহারের ডিএনএ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোদী রাজ্যকে অপমান করেছেন। বিহারের ডিএনএ-তে কোনও খারাপ নেই। এই রাজ্যের মাটিতে উল্লেখযোগ্য ইতিহাস রয়েছে। আমার ডিএনএ-ও বিহারের মাটি থেকে উৎপন্ন হয়েছে। আমার ডিএনএ আর এই রাজ্যের ডিএনএ এক।
এই ইস্যুতে নীতীশের পাশে দাঁড়িয়ে মোদীকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি সনিয়া গাঁধীও। বলেন, কিছু মানুষ বিহারকে কটাক্ষ করে মজা পেয়ে থাকেন। যখনই তাঁরা সুযোগ পান, বিহারে ডিএনএ ও সংস্কৃতি নিয়ে মন্তব্য করেন। কখনও তাঁরা আবার একে ‘রোগী’ বলেও উল্লেখ করেন।
সামনেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন। এখানে বিজেপি জোটের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে নেমেছে জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেস। এদিনের স্বভিমান র্যালিতে একসঙ্গে উপস্থিত থেকে সেই ঐক্যবদ্ধ চেহারাই তুলে ধরার চেষ্টা করলেন সনিয়া-নীতীশ-লালু।