দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ২ সেপ্টেম্বর ।। পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুসারে ভারতের ট্রেড ইউনিয়ন ২রা সেপ্টেম্বর ভারত বনধের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছিল ত্রিপুরা। ডান-বাম সহ দেশের প্রায় সিংহভাগ ট্রেড ইউনিয়ন সামিল এই দেশব্যাপী বনধে – শুধু BMS ছাড়া, ভারতীয় মজদুর সংঘ শেষমুহূর্তে কেন্দ্রীয় স্তরে আলোচনায় বসে নিজেদের সরিয়ে নেয়। মূলতঃ কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক, কর্মচারী সহ সাধারন মানুষের জনকল্যাণের পরিবর্তে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দেশীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলো বনধের আহ্বান করে বলেছে সংবাদ মাধ্যমে অভিমত প্রকাশ করেছে। ২রা সেপ্টেম্বরের বনধকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন সহ অন্যান্য সংগঠন গুলো প্রচার
চালিয়েছে।
বনধের কল্যানে সচল ত্রিপুরা অচলায়নের নাকাবন্দির দৃশ্যে রুপান্তরিত হয়। সর্বত্র প্রাত্যহিক ব্যস্ততার দৃশ্যে ছিল অনিবার্য স্থবিরতার উপস্থিতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী বেসরকারী কার্যালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল ঝাঁপ ফেলা অবস্থায়, পথচারী বিহীন পথের শূন্যতা, বাস আর অটো স্ট্যান্ডের যাত্রীর ব্যস্ততা রহিত দৃশ্যে রাজধানী অতিক্রান্ত করছে অন্যরকম একটা দিন। আলস্যের প্রহর অতিক্রান্ত করতে কোথাও টাক্কা, সাহেব কোথাও ৬৪ ঘরের দাবা আবার কেঊ ক্যারামেই মত্ত ছিলেন।
বনধ আহ্বানকারীদের তরফে শহরে মিছিল এবং পিকেটিং করা হয়েছে, ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কেন এই বনধ – এই প্রশ্নে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় সরকারের অগণতান্ত্রিক অনৈতিক সিদ্ধান্তে দেশে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। শ্রমিকের স্বার্থ, স্বাধিকার সংকুচিত করার এই প্রয়াস থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। যদিও বিজেপি এই বনধের বিরোধীতা করেছেন।