দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ৫ সেপ্টেম্বর ।। যুগস্রষ্টা মহাশক্তির আঁধার ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে অলৌকিক ধর্মীয় কাহিনী। যে কাহিনী বার বার শ্রবনের পরও মনে হয় কিছু বাকী রয়ে গেছে। কংসের কারাগারে বন্দী দৈবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তানের হাতেই বিনাশ হবে কংসের বিধির বিধানেই লেখা ছিল। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্ম এবং পরবর্তী নানা কাহিনীর সবটাই মূলত সত্যের জয় আর অসত্যের পরাজয়ের বাস্তব উদাহরন।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্ম, বাসুদেবের যমুনা পারের সময় নাগরাজ বাসুকীর সাহয্য, গোকূলে যশোদার কাছে রেখে আসা সবটাই হয়েছে ভগবানের ইচ্ছাতে। বাল্যকাল, শৈশবের আলৌ্কিক কাহিনীর শেষে নৃশংস কংস বধের ঘটনা যুগ যুগান্তরে ভগবানের প্রতি অটল বিশ্বাসের মূর্ত কাহিনী। অত্যাচার, নিপীড়ন যখন চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছে যায় তখুনই ভগবান আবির্ভূত হন ভক্তকূলের জীবন রক্ষায় বিশ্বাস করেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের লিলার জাগতিক রুপের বর্ণনার মধ্যেই নিহিত রয়েছে সেই চিরায়ত সত্য অর্থাৎ যেখানে ন্যায়ের, মানবতার উপস্থিত সেখানেই সার্বিক জন কল্যান, যেখানে অধর্ম সেখনেই অবক্ষয়। যুগে যুগে জন্মাষ্টমী মানুষকে সত্যের পথে এগিয়ে চলার দিশা দেখাচ্ছে। অয়োজনে ভিন্নতা থাকলেও জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণ ভক্তের প্রার্থনার পবিত্র ছবি একই রকম মথুরা থেকে ত্রিপুরা।