নার্সদের চরম গাফিলতিতে মৃত্যু এক নবজাতকের, থানায় মামলা

khwগোপাল সিং, খোয়াই, ৯ সেপ্টেম্বর ।। খোয়াই জেলা হাসপাতালে এক প্রসুতি মায়ের চিকিৎসা চলছিল স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ড. দেবাশীষ সাহা’র তত্ত্বাবধানে। প্রসুতি মহিলা মনি শুক্লদাস দক্ষিন জাম্বুরা গ্রামের শ্যামানন্দ দাসের স্ত্রী। মঙ্গলবার সকালেই গর্ভবতী মহিলাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে ভর্ত্তি করানো হয়। ভর্ত্তি করেন ড. দেবাশীষ সাহা। ডাক্তার বাবু মণির স্বামী ও ভাইকে স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছিলেন মঙ্গলবার মণিকে ভর্ত্তি থাকার জন্য। কথা ছিল প্রয়োজনে বুধবার গর্ভবতি মহিলাকে জিবি বা হাপানিয়াতে পাঠানো হবে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে প্রসব যন্ত্রনা শুরু হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাড়াই শিবানী দেববর্মা ও সুমিত্রা দাস নামে দুই সেবিকা বিকেল চারটা নাগাদ লেবার রুমে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ নবজাতক শিশুটিকে টেনে হিচরে মৃতপ্রায় অবস্থায় বের করে। শিশুটিকে এই অবস্থায় দেখে সেবিকারা অপর চিকিৎসক অরিন্দম দেববর্মাকে ডেকে আনেন। ডাক্তার বাবু প্রত্যক্ষ করেন নবজাতকের হৃদপিন্ডের গতি খুব কম এবং তার শ্বাস কষ্ট হচ্ছিল। অক্সিজেন দেওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রাণপন চেষ্টা করেও নবজাতককে বাঁচাতে পারেন নি চিকিৎসক। এদিকে অনভিজ্ঞ সেবিকারা প্রসব করাতে গিয়েই শিশুটিকে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ তুলছেন গৃহবধূর স্বামী ও তার আত্মীয় পরিজনরা। এনিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়ায় জেলা হাসপাতাল চত্বরে। এদিকে ড. দেবাশীষ সাহার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও উনার মোবাইলের স্যুইচড অফ থাকায় কোন যোগাযোগ করা সম্ভবপর হয়ে উঠেনি। শুধু তাই নয় এত বড় ঘটনা ঘটে যাবার পর, একবারের জন্যও তিনি হাসপাতালে কিংবা প্রসূতি মায়ের খোঁজ-খবরও নেননি। এমনটাই অভিযোগ গৃহবধূর পরিবারের। বুধবার, খোয়াই জেলা হাসপাতালে শিশুটির পোষ্ট মড়টেম করা হয়। থানায় এব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করে গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*