জাতীয় ডেস্ক ।। কাশ্মীরে গো-মাংসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পরই বিরোধিতার ডাক দিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন কট্টরপন্থী হুরিয়ত-নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেকেএলএফও। নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে শনিবার কাশ্মীরে হরতালের ডাক দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলি। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নজরবন্দি রেখেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবারই এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছিল মুসলিম লিগ। শুক্রবার জামিয়া মসজিদের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেয় বিরোধীরা। সেই মতোই প্রার্থনার পর আজ শ্রীনগরের নওহাট্টা এলাকায় ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় পাকিস্তানপন্থী একদল যুবক। বিক্ষোভ গড়ায় সংঘর্ষে। পুলিশের সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। কিছু যুবক পাকিস্তান এবং জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের পতাকা তোলে। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশও। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুখে কাপড় বাঁধা একদল যুবক মসজিদ এলাকাতেই জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস, আল-জেহাদের ব্যানার, পতাকা এবং পাকিস্তানের পতাকা তোলে। সূত্রের খবর, লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সঈদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের কম্যান্ডার বুরহান মুজাফ্ফরের পোস্টার দেখা যায় তাদের হাতে। প্রসঙ্গত, ১৫০ বছরের পুরোনো একটি আইন ফিরিয়ে এনে নয়া এক নির্দেশিকা জারি করেছে জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের কোথাও গো-মাংস বিক্রি করা যাবে না। তবে এরই মধ্যে ওই আইনের বিরোধিতা ও হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় গো-হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তথ্যসূত্র – এবিপি নিউজ।