গোপাল সিং, খোয়াই, ১৩ সেপ্টেম্বর ।। খোয়াই থানাধীন উত্তর রামচন্দ্রঘাট পঞ্চায়েতের লালটিলা গ্রামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করল তার স্বামী। ঘটনা শনিবার সকালে। তবে ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী গা ঢাকা দিলেও আউট পোষ্টের পুলিশ মেজর এর তৎপরতায় অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত শচীন্দ্র সরকার। ঘটনার বিবরনে জানা যায় ৮ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল গ্রামেরই মনীন্দ্র সরকারের ছেলে শচীন্দ্র সরকার ও সুমন্ত নম:’র মেয়ে দুলালি। এই দম্পত্তির একটি কন্যা সন্তান ও একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। কিন্তু শ্বশুড় বাড়ি থেকে কিছু টাকা এনে দেবার জন্য চাপ সৃষ্টিকে নিয়েই শনিবার সকালে স্বামী স্ত্রী’র মধ্যে ঝগড়া বাধে। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ শচীন্দ্র কাজে বের হবার সময় ঝগড়া বাধে। সেই ঝগড়া পরবর্তী সময় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে মোটা লাঠি দিয়ে স্ত্রী দুলালিকে পিঠে ও মাথায় পর পর আঘাত করতে থাকে নিষ্ঠুর স্বামী শচীন্দ্র। লাঠির আঘাতে গৃহবধূটি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে, শচীন্দ্র পালিয়ে যায়। ঘন্টা খানেক পর শ্বাশুড়ি ভজনা সরকার কষ্ট করে পুত্রবধূ দুলালিকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুলালির অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাকে সঙ্গে সঙ্গেই জিবি রেফার করা হয়। কিন্তু মাঝ পথেই দুলালি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এদিকে শ্বাশুড়ি ভজনা সরকার পুত্রবধূ দুলালিকে জিবি নিয়ে যেতে গড়িমশি করে বলে অভিযোগ। সেই সাথে ছেলের কীর্তি ঢাকতে পুলিশকে বিভ্রান্তমূলক তথ্য দেয়। বলে, দুলালি নাকি বাড়িতেই কাঠের লাকড়ির উপর পড়ে গিয়ে আহত হয়। কিন্তু শ্বাশুড়ি ভজনা সরকারের দেওয়া মিথ্যে তথ্য কিছুক্ষনের মধ্যেই ভূল ও অসত্য প্রমানিত হয়ে পড়ে। কারন মৃতার শরীরে মিলে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। আঘাত ছিল পিঠে, মাথায় ও গালে।পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দুলালিকে পিটিয়েই হত্যা করা হয়েছে। মৃতার ভাই কৃষ্ণ নম: শনিবার বিকেলেই খোয়াই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন দুলালির স্বামী শচীন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। ৩০২ ধারায় পুলিশ একটি মামলা নেয়। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যা রাতেই অভিযুক্ত স্বামী শচীন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করে আউট পোষ্টের পুলিশ মেজর। মৃতার পরিবারের তরফে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।