দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৯ সেপ্টেম্বর ।। ২০শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইংরেজী রবিবার এই পাহাড়ী রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিশেষ দিন হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে। দেশের মূল ভূখন্ড থেকে কোনো এক সময় এই রাজ্যের অবস্থান প্রায় বিচ্ছিন্নতার পর্যায়েই ছিল। দুর্গম গিরি আর দুস্তর পারাপারের একেবারে বাস্তব ভূমি ছিল ত্রিপুরা। ধীরে ধীরে এই রাজ্যের মানুষের উপলব্ধি হল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ব্যতিরেকে অগ্রগতি অন্ধকারের সমার্থক। দেশের মূল খণ্ডের সঙ্গে রেল যোগাযোগের দাবীতে এই রাজ্যে আন্দোলন, সংগ্রামের পর্বও অতিবাহিত হয়েছে। ক্রমাগত মানুষের দাবীতে এমুহূর্তে আগরতলা পর্যন্ত রেল বিস্তৃত হয়েছে। মিটার গেজ যাত্রী পরিষেবা যে এই রাজ্যের মানুষের যাত্রার দুর্ভোগ পরিসমাপ্ত করেছে তা একেবারেই বলা যাচ্ছেনা, তবে নিঃসন্দেহে মিটার গেজ রেলে যাত্রার যন্ত্রনা সত্ত্বেও মানুষ আস্তে আস্তে রেলে যাত্রা করেই চিকিৎসা, শিক্ষা সহ নানা কাজে বাইরে গেছেন। মিটার গেজেই যাত্রী সংখ্যা বাড়ার ফলে রেলের আয় বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। এই রাজ্যের রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে ২০শে সেপ্টেম্বর মিটার গেজ বিস্মৃতির অন্তরালে চলে যাওয়ার দিন, সেই সঙ্গেই মেগাব্লক আর ব্রড গেজ লাইন নিয়ে রাজ্যের মানুষ নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। মিটার গেজের রেলের বাঁশী আর কোনোদিন প্রতিধ্বনিত হবেনা পাহাড়ের বুকে। একদিকে বিদায় অন্যদিকে নতুন দিনের নতুন স্বপ্নের মিশেলে রেলের সৌজন্যে রাজ্যের জন্য রচিত হল নব অধ্যায়।