বিশ্ব হৃদয় দিবস

hrtদেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ২৯ সেপ্টেম্বর ।। ২৯শেসেপ্টেম্বর গোটা বিশ্বে পালিত হয় হৃদয় দিবস। চিকিৎসা বিজ্ঞানশাস্ত্রে মানুষের দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হার্ট বা হৃদয়। মানব দেহের অভ্যন্তরে রক্ত সঞ্চালনে হৃদয় যন্ত্রের উপর পুরোপুরি নির্ভর জীবন রেখা। হার্টের সুস্থতা হচ্ছে জীবনের গ্যারান্টী। আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে জীবন ধারা সেই ধারাতে এমুহূর্তে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় চিরায়ত খাদ্যাভাবে, সেই সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত জীবন প্রনালী অসময়ে মৃত্যু ডেকে আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে হার্টের অসুখ কিংবা পেসমেকার সর্বজনবিদিত। অমূল্য জীবন মানুষের দৌলতেই মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে তার পেছনে রয়েচ্ছে নানা কারন। গোটা পৃথিবীতেই বেড়ে চলেছে হার্টের সমস্যাক্রন্ত মানুষের সংখ্যা। হার্টের অসুখের চিকিৎসা অন্তত ব্যয়বহুল ফলে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে চিকিৎসকরা সংবাদ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস জারী রেখেছে তারপরেও হৃদয় ঘটিত রোগাক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। বিশ্ব হৃদয় দিবসে বিশ্বের মানুষের কাছে আবেদন করে হয়েছে মধুমেহ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন সঙ্গে প্রত্যেকটা মানুষকে শারীরিক ব্যায়াম এবং হাঁটার অভ্যাসই হার্টের অসুখ থেকে নিস্তার দিতে পারে। জীবনের আনন্দ উপোভোগে সুস্থ সবল ভাবে বেঁচে থাকতে জীবনশৈলীর পরিবর্তন একান্ত অপরিহার্য বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশ্বের হৃদয় রোগ বিশেজ্ঞরা। আধুনিক বিশ্বে হৃদয় রোগ ভয়াবহ আকার ধারন করেছেতার প্রমান ২০১৪ সালের সমীক্ষা। পরিসংখানে দেখা গেছে বিশ্বে প্রতিবছর ১৭.৩ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে হার্টের অসুখে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধুমপানের প্রবনতায় উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ার ফলে হৃদয় ঘটিত ব্যাধি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত সাধারন মানুষ, বিশ্ব হৃদয় দিবসে জীবন বাঁচাতে সতর্কবাণী উচ্চারন করেছেন এই রোগের বিশেজ্ঞ চিকিৎসকরা। ত্রিপুরাতেও বিশ্ব হৃদয় দিবসে আয়োজিত হয়েছে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*