দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ০১ অক্টোবর ।। আধুনিকতার দৌড়ে এই পৃথিবী সুপার সনিক স্পীডে এগিয়ে চলেছে। দ্রুত গতির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে পুরনোর জায়গায় ঠাঁই নিচ্ছে হাল ফ্যাশানের উপকরন – সেই প্রভাব পড়েছে পরিবার থেকে সমাজ, সমাজ থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। পরিবারের উদাহরনে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে আধুনিকতার স্ট্যাটাস মেনটেনের দোহাই দিয়ে চিরায়ত সম্পর্কে স্বার্থের থাবা প্রকট হয়ে উঠেছে। প্রবীনের প্রয়োজনীয়তা আজ প্রশ্নের মুখে। যাঁদের হাত ধরে পথ চলে প্রতিষ্ঠা – সেই প্রবীনদের এমুহূর্তের অবস্থান কোন পর্যায়ে শ্রদ্ধেয় পাঠক মাত্রই সেই হিসেব করতে পারবেন বলাই বাহুল্য। আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবসে প্রবীন সমাজকে সন্মান শ্রদ্ধা জানাতে নানা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। বিশ্লেষনে উঠে এসেছে সামাজিক বিবর্তনের পেছনে প্রবীণদের অকৃপন ত্যাগের কথা। মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবসের অনুষ্ঠানে উদ্বোধক তথা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, সন্মানীয় অতিথি হিসেবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব এম নাগারজু, সভানেত্রী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যান ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিজিতা নাথ। বক্তাদের ভাষনে প্রবীণদের প্রাসঙ্গিকতা ও আগামীর পথচলায় তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্তমানেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে।