দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ২৪ অক্টোবর ।। যোগাযোগের প্রশ্নে রাজধানী আগরতলার বটতলাকে ‘নাভি’ বললেও অত্যূক্তি হয়না তবে দিনে দিনে সেই ‘নাভি’ বাস্তবিক অর্থেই ‘নাভিশ্বাসে’র কারন হয়ে দাঁড়ালেও কোনোপক্ষেই মাথাব্যাথা নেই। ব্যাপারটা খুলেই বলা যাক – দক্ষিন দিক থেকে শহরে সম্পস্ত যানবাহন প্রবেশ করে পুরনো সেতু সংলগ্ন দ্বিতীয় সেতু দিয়ে, সংলগ্ন অঞ্চলেই রয়েছে অটো স্ট্যান্ড সামান্য দূরে নাগেরজলা – সবমিলিয়ে জেরবার পরিস্থিতি। দক্ষিন থেকে শহরে ঢোকার মুখে সদাসর্বদা যানবাহনের ভীড় পথ চলাই কষ্টকর। সেই জেরবার পরিস্থিতিতে কোথাও রাস্তাতেই স্থিতিশীল যানবাহন আবার পথেই চলছে যাত্রী উঠানামা। ব্রিজের উপরও একই ছবি দন্ডয়মান যানবাহনের ভীড় সঙ্গে জীবনের ঝুকি নিয়ে অনেকে ব্যবসা করছেন। বটতলার দ্বিতীয় সেতু দিয়ে প্রবেশ পথ অনেক সময় দুর্ভেদ্য হয়ে উঠে জটের ভীড়ে। সংবাদ মাধ্যমে বহুবার শিরোনাম হলেও শীরপীড়ার কোনো লক্ষন নেই। বটতলার দ্বিতীয় সেতুও ছোটখাটো স্ট্যান্ডের রুপ নিলেও ট্রাফিক দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট মানুষ যাঁদের এ পথে নিত্য যাতায়াত। নাগেরজলা স্ট্যান্ড, দক্ষিন শহরতলীতে যাতায়াতের অটো স্ট্যান্ড থাকায় সব সময়ই থাকে যাত্রী ভীড় – কিন্তু পরিস্থিতি যে রকম ভয়াবহ তাতে যাত্রা ভঙ্গের ঘটনা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। ট্রাফিক দপ্তর, পুর নিগম, শ্রম দপ্তর মাঝে মধ্যেই গা-ঝাড়া দিয়ে থাকে – “নিউজ আপডেট অব ত্রিপুরা”-র এই ছবি তোলা হয়েছে দক্ষিন থেকে শহরে প্রবেশের মুখে দ্বিতীয় সেতু থেকে – পথের জট ছাড়ানোর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা গা-ঝাড়া নয় সরজমিনে তত্বতালাশ করুন দুর্দশা দূর করতে।