আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে থাকা ও ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের কঠোর হতে থাকার মধ্যেই পবিত্র আল-আকসা মসজিদ পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ডানপন্থী ইসরায়েলী রাজনীতিবিদ ও সংগঠনগুলো। মুসলিমদের কাছে আল-আকসা মসজিদ হিসেবে বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানটি ইসরায়েলী ইহুদিদের কাছে পরিচিত টেম্পল মাউন্ট হিসেবে। পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা দখলের পর এখন আল-আকসা প্রাঙ্গণেও তাদের হস্তক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন ফিলিস্তিনীরা। মসজিদটিতে ইহুদিদের প্রার্থনা আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ হলেও পুলিশী নিরাপত্তা নিয়েই ইসরায়েলীরা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছেন। ইহুদিরা মাউন্টে নিজেদের দাবি ছাড়তে নারাজ। কট্টর ডানপন্থী ও ইহুদীবাদী সংগঠন রিটার্নিং টু দ্য মাউন্টের প্রধান রাফায়েল মরিস ইসরায়েলের চ্যানেল টু-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, ইসরায়েলী ইহুদিদের ওপর ইসরায়েল সরকার ‘নির্মম নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করে রেখেছে। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমাদের আরো বিরুদ্ধে যাক, তা চাই না আমরা। এই পরিস্থিতির অবসানই শুধু আমাদের উদ্দেশ্য নয়, বরং সেখানে ইহুদিদের অধিকারও প্রতিষ্ঠা করব আমরা।’ টাইমস অব ইসরায়েল ও আলজাজিরা সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে সংগঠনটি আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করে দিয়ে ইহুদি মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য পোস্ট প্রকাশ করে চলেছে। এই ধর্মীয় উস্কানিমূলক প্রচারণা এমন এক সময়ে শুরু হয়েছে, যখন ইসরায়েলের দখলদারি ও ফিলিস্তিনের প্রতি কঠোর নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন ফিলিস্তিনীরা। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের ভেতরে বসবাসরত ফিলিস্তিনী এলাকাগুলোতেও দমনপীড়ন বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। প্রতিবাদরত ফিলিস্তিনীদের ওপর ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ, রবার-স্টিল বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, চেতনানাশক গ্রেনেড ইত্যাদি নিয়ে চড়াও হচ্ছে ইসরায়েলী বাহিনীগুলো। গত ১ অক্টোবর থেকে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৬৬ জন ফিলিস্তিনী। গ্রেপ্তার হয়েছেন শিশুসহ আরো অন্তত এক হাজার জন।