ত্রিপুরার বুকে বৃহত্তম কলঙ্কিত কাণ্ডে ধৃতদের রায় দান আদালতের – জনারন্য আদালত চত্বর

prosti. boys prosti. Girts prosti. peoplesদেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৩ নভেম্বর ।। কৃষ্ণনগরের অ্যাডভাইজার চৌমুহনীতে সাম্প্রতিক সময়ে কলঙ্কিত ঘটনা গোটা রাজ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায় নি বলাযায় ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোচ্ছে তার আগাম আভষ দিয়েছে। মানুষের মুখোশে এক শ্রেণীর অর্থলোলুপ প্রজন্ম শুধু রোজগারের ধান্দায় গোটা সমাজকে ধ্বংশের পথে ঠেলে দিচ্ছে। ত্রিপুরার বুকে আড়ালে আবডালে এমন অনেক কলঙ্কিত পর্ব হচ্ছে – চলছে কানাকড়ির খেলা কে কার খোঁজ রাখে। একখানা অ্যাডভাইজার চৌমুহনীর পাপের সৌধ ধ্বংশেই সব সাফ হয়ে যাবে সব ভাবার সুযোগ নেই। এই রাজ্যের মানুষ এই প্রথম সুনেছে পুলিশের নামে জয়ধ্বনি – ঘর, সংসার আর ত্রিপুরাকে বাঁচাতে সর্বত্রই পুলিশের জয়ধ্বনিতেই রাহুমুক্তি ঘটতে পারে যেখানে প্রতিবাদী সমাজেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। শুক্রবার, অ্যাডভাইজার চৌমুহনী কান্ডে ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের আত্মীয়সজন, অবিভাবক সহ প্রচুর মানুষ ভীড় জমায় আদালত চত্বরে। এই ঘটনার পর পরই চাওর হয়েছিল যাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাদের মধ্যে বাগদান, আশীর্বাদ পর্ব শেষ হওয়া হবু জামাই বউকেও জালে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার উৎকণ্ঠিত অবিভাবকরা প্রামান্য দলিল হিসেবে বিয়ের বাগদান, আশীর্বাদ পর্বের ভিডিও নিয়ে হাজির হন আদালতে। উল্লেখ্য ৫ দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলা জানিয়েছে তিনি পেশাদার যৌন কর্মী, আর দুই নাবালিকার মধ্যে এক নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছে এবং অপর নাবালিকা সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে। পক্ষে বিপক্ষ্যে তর্জা শেষে বিচারক ৩ জন রেষ্টুরেন্টের মালিক এবং ২ জন সহ মোট ৫ জনকে ছাড়া বাকি সবাইকে ছেড়ে দেয়ার রায়দান করেন। অভিযুক্ত ৫ জন ছাড়া বাকি সবার ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলেও জানা গেছে।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*