জাতীয় ডেস্ক ।। নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত নাবালক অপরাধীর মুক্তি আটকাতে রাজি হল না দিল্লি হাইকোর্ট। দেশের বর্তমান আইনে তার ছাড়া পাওয়া আটকানো যায় না বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জি রোহিনী ও বিচারপতি জয়ন্ত নাথের বেঞ্চ। তিন বছর সংশোধনাগারে থাকার মেয়াদ শেষে তার ছাড়া পাওয়ার কথা। কিন্তু ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বরের গণধর্ষণে নির্যাতিতার বাবা-মা সহ নানা মহল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রবল বিরোধিতা করা হচ্ছে। কিন্তু তার মুক্তি স্থগিত রাখার দাবি মানল না আদালত। ফলে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ না দিলে রবিবার ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল সেই নারকীয় ঘটনায় সবচেয়ে বেশি নৃশংসতার পরিচয় দেওয়া ছেলেটির। ঘটনার সময় সে ছিল নাবালক। আজ তার বয়স ২০। ছাড়া পাওয়ার পর সমাজে ছেলেটির ‘পুনর্বাসন ও তাকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানো’র ব্যাপারে কী হবে, সে ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলতে জুভেনাইল বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে তার অভিভাবক ও দিল্লি সরকারের মহিলা ও শিশুকল্যাণ দফতরের অফিসারদের সঙ্গেও বোর্ডকে কথা বলতে বলেছে আদালত। ওই নাবালক অপরাধীর মুক্তির ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আবেদনকে বিধিসম্মত বলে গ্রহণ করা যায় না বলে জানিয়েছে বেঞ্চ। এক্ষেত্রে চলতি আইন বাধা বলে মত বিচারপতিদের। নাবালক অপরাধীর ছাড়া পাওয়ার পথ প্রশস্ত করে বেঞ্চ বলেছে, জুভেনাইল জাস্টিস আইনের ১৫ (১) ধারায় বিশেষ হোমে রাখার যে সর্বোচ্চ মেয়াদ বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা হল তিন বছর। এ ক্ষেত্রে দোষীর তিন বছরের স্পেশাল হোমে কারাবাসের সেই তিন বছরের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে ২০ ডিসেম্বর। তারপর তাকে সেখানে আটকে রেখে দেওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া যায় না। তাই আবেদনকারীর আর্জি মেনে কোনও নির্দেশ দিতে আমরা অপারগ।এদিকে হাইকোর্টের আজকের বক্তব্যে তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হল, অপরাধের জয় হল। আমরা হেরে গেলাম। মেয়েটির মা, আশা দেবী বলেছেন, তিন বছর ধরে আমাদের যাবতীয় চেষ্টা সত্ত্বেও সরকার, আদালত একটা অপরাধীকে ছেড়ে দিল। আমরা সুবিচার পাব বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা পেলাম না। আমরা খুবই হতাশ। তথ্যসূত্র – এবিপি নিউজ।