আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। আমাদের দেশে ট্রেন চলাচলের জন্য যেমন রাস্তার উভয় পাশ বন্ধ করে দেয়া হয়, ঠিক তেমনেই বিমান আকাশে উড়ার সময় সেখানে দু’পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। বিমানবন্দরটি মুলত মহাসড়ক কেন্দ্রীক। আইবেরিয়ান উপদ্বীপে অবস্থিত জিব্রাল্টারের শুরু থেকে শেষ মাথা পর্যন্ত ২.৩ মাইলের আয়তনের এই বন্দর।মূলত জায়গাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সমত ভূমি না থাকায় এর প্রধান সড়ককে দুই ভাগ করে রানওয়ে বানানো হয়েছে। এর ঠিক পাশেই স্পেন ও মরক্কোর মাঝখান দিয়ে চলে গেছে জিব্রাল্টার প্রণালি। স্পেনের উপকূলের গা ঘেঁষেই বানানো হয়েছে সরু এই বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটিকে স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরগুলোর তালিকায় বেশ ওপরের দিকেই রাখা হয়। সড়ক পথের যাত্রীদের বিমানের আগমনে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। এভাবে আটকে পড়ার সময়টিও নেহাত কম নয়। একবার প্লেনের সিগন্যালে আটকে গেলে পাক্কা ১০ মিনিট চলে যায় যাত্রীদের। কখনো কখনো এমনকি সিগন্যাল আটকে থাকে পাক্কা দুই ঘণ্টাও। মূল সড়কের মধ্যখান দিয়ে রানওয়ে থাকায় প্রতিবার প্লেন ওঠানামা করার সময় থামিয়ে দেওয়া হয় যান চলাচল। প্রতি সপ্তাহে মাত্র ৩০টি ফ্লাইট ওঠানামা করার কারণে জিব্রাল্টার বিমানবন্দরটি খুব ব্যস্ত থাকে না। এখান থেকে শুধু যুক্তরাজ্যেই যাতায়াত করা যায়। বেশির ভাগ বিমানই যাওয়া-আসা করে লন্ডন, বার্মিংহাম অথবা ম্যানচেস্টারে। স্প্যানিশ ভূখণ্ডের ভেতরে থাকলেও ব্রিটিশদের স্বায়ত্তশাসনে থাকায় ১৭১৩ সালে স্পেন ইবেরিয়ান উপদ্বীপটির দাবি ছেড়ে দেয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বছর ধরে এটি ব্রিটিশদের অধীনেই আছে। আদতে এ বিমানবন্দরটি ছিল ঘোড়দৌড়ের রাস্তা। পরে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহূত হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জিব্রাল্টারে স্থাপন করা হয় এই বিমানবন্দর, ১৯৩৯ সালে। তখন শুধু নৌবাহিনীর উড়োজাহাজই চলাচল করতে পারত এখানে।