জাতীয় ডেস্ক ।। দিল্লিতে প্যারামেডিকেলের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার মামলার সাজাপ্রাপ্ত কিশোর রোববার মুক্তি পাচ্ছেন। ওই অভিযুক্তকে আটকে রাখতে রাতে জরুরি শুনানির আয়োজনের আবদেন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট করে দিল্লি কমিশন ফর উইম্যান (ডিসিডব্লিউ) নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন। তবে রাতে ওই আবেদনের শুনানিতে অংশ নিতে অপারগতা প্রকাশ করে তা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে সিনেমা দেখে বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে দিল্লিতে চলন্ত গাড়িতে ছয়জন মিলে প্যারামেডিকেলের ওই শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় রাস্তা ফেলে রেখে যায়। পরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। ওই ছয়জনের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছরের নিচেই থাকায় তার বিচার হয় কিশোর আদালতে। ওই মামলায় তিন বছর তাকে কিশোর সংশোধনাগার কেন্দ্রে আটকে রাখার নির্দেশ দেন ওই আদালত। মামলার অন্য চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারচলাকালে একজন আত্মহত্যা করেন। ১৬ ডিসেম্বর ধর্ষণের ঘটনার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই ছাত্রীর মা-বাবা জানিয়েছিলেন, ওই কিশোরের মুক্তির বিরুদ্ধে রোববার তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবেন। ভুক্তভোগীরা মা-বাবা এর আগে ইন্ডিয়ান গেটে বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারির কারণে সেখানে তারা বিক্ষোভ করার অনুমতি পাননি। বিচারক একে কোয়েল ও ইউ ইউ লালিতের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ কিশোরকে আটকে রাখার জন্য ডিসিডব্লিউ যে আবেদন করে তা রোববার খারিজ করে দেন। আবেদনের শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের কাছে স্থানান্তর করেন। সোমবার ওই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ভুক্তভোগী বাবা-মা অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে বেশি নির্যাতন করে ওই কিশোর। তাকে আঘাতও করেন ওই কিশোর। তাকে ভয়ঙ্কর বলে অভিহিত করেন তারা।