গোপাল সিং, খোয়াই, ২১ ডিসেম্বর ।। রবিবার রাত আনুমানিক ১০টা নাগাদ হঠাৎই খোয়াইয়ের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়ে। কিন্তু বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হবার আগে জোড়ালো বিকট শব্দ হয়। খবর নিয়ে জানা যায় খোয়াই মটরস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে একটি মাল বোঝাই লড়ি বিদ্যুৎ পরিবাহী খুঁটি সমেত দুমড়ে-মুচরে যায়। দূর্ঘটনাগ্রস্থ লড়ির চালক অল্পেতে প্রাণ রক্ষা করে।যদিও বৈদ্যুতিক খুঁটিটি বিপদজনকভাবে রাস্তার মধ্যেই হেলে থাকে। রাতেই বিদ্যুৎ কর্মীরা সেখানে পৌছান এবং রাস্তা পরিস্কার করেন। সোমবার দিনভর চলে সারাইয়ের কাজ। রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর অবধি বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। তবে বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে যায় লড়ি চালক। কিন্তু বেপরুয়া গতিতে যান চলাচলের খেশারত দিতে হতে পারতো লড়ি চালককে। খোয়াই শহরে মাত্রারিক্তভাবেই নিয়ন্ত্রনহীন যান চলাচল বেড়ে চলেছে। নজর নেই আরক্ষা প্রশাসনের। ট্রাফিক ব্যবস্থা নামকাওয়াস্তে। মূর্ত্তির মতো সটান দাঁড়িয়ে। খোয়াই শহরের একমাত্র অফিসটিলা রোড ছাড়া বাদ বাকি ৯৯ শতাংশ রাস্তাই সরু। তার মধ্যে নেই যান চালকদের সচেতনতা। রাস্তার কোন দিক ঘেঁষে যান-বাহন চালাতে হয় তারই সঠিক জ্ঞানের অভাব পরিলক্ষিত হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা, যানবাহন চালকদের দেখা যায় রং-সাইডেই চলাচল করতে। পথচারীরা কিছু বলতে গেলে আবার তারা তেড়ে আসে। বিশ্রি ভাষায় কথা বলে। কেউ কেউ মোবাইল কানে লাগিয়েই দিব্যি যানবাহন চালিয়ে ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে সুরসুরিয়ে চলে যান। কিছুই করার থাকেনা।কারন আরক্ষা প্রশাসন যে শুধুমাত্র সারা মাসে নিয়ম করে পকেট গরম করতেই রুটিন চেকআপ করেন। বাদ বাকি ২৯ দিনই বেপাত্তা থাকেন উনারা। রাস্তায় চলার নিয়ম চুলোয় দিয়ে বাইক, ছোট-বড় গাড়ীর সাথে মাল বোঝাই এবং মাটি বহনকারী লড়িগুলি তুফান বেগে শহরের উপর দিয়ে ছুটে গেলেও কারোরই ভ্রক্ষেপ নেই। কারন বাধা দেওয়ার যে কেউ নেই।
একারনেই খোয়াই শহরে প্রতিদিন চলছে যান-দূর্ঘটনা। অবৈজ্ঞানিক ট্রাফিক ব্যবস্থা। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে, চৌমূহনীগুলি যেন মরণ ফাঁদ। ৫০ বছরের বেশী সময় ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলি আর ভার বহন করতে পারছেনা। তাছাড়া যে রাস্তায় আগে ১০ হাজার মানুষ এবং যান চলাচল করত, আজ সেখানে দেড় লক্ষাধিক মানুষ ও যান চলাচল করছে।
ঠিক একইভাবে সাক্ষীগোপাল হিসাবে অবৈজ্ঞানিকভাবে দাঁড়িয়ে আছে শহরের বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলি। গত ২৫ দিন আগে বনকর এলাকায় এবং গতকাল রবিবার খোয়াই জীপস্ট্যান্ড এলাকায়, বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে যানবাহন দূর্ঘটনাগ্রস্থ হয়। রবিবার রাত আনুমানিক ১০টার সময় হঠাৎই বিদ্যুৎ চলে যায়। কিন্তু বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হবার সময় একটা বিকট আওয়াজ হয়। শহরের উপর দিয়ে বেপরুয়া গতিতে ছুটে চলা যানবাহন বিশেষ করে মাটি বহনকারী লড়িগুলি বিপদজ্জ্বনক হয়ে উঠেছে। অধিক অর্থ উপার্জনের জন্য অতিরিকক্ত মালবোঝাই গাড়ীগুলি যমদূত হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ প্রশাসন নির্বাক।