আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। চলতি বছর সমুদ্র ও ভূমি অঞ্চল পাড়ি দিয়ে ইউরোপে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় চার গুন, জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর মধ্যে অধিকাংশই তুরস্ক হয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে গ্রিসে পৌঁছেছেন। এদের সংখ্যা আট লাখেরও বেশি। শরণার্থীদের মধ্যে মূলত সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের আধিক্যই বেশি।এছাড়া ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় এ বছর তিন হাজার ৬৯৫ জন অভিবাসী হয় ডুবে মারা গেছেন, নয়তো তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থী শরণার্থীদের সংখ্যা নতুন এই মাইলফলক সোমবার ছুঁয়েছে বলে জানিয়েছে আইওএম। গতকাল পর্যন্ত ইউরোপে এ বছর প্রবেশ করা মোট শরণার্থী সংখ্যায় ১০ লাখ পাঁচ হাজার চারজন। গ্রিস, বুলগেরিয়া, ইতালি, স্পেন, মাল্টা ও সাইপ্রাস- ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এই ছয় সদস্য দেশ হয়ে প্রবেশ করেছেন এই নির্দিষ্টসংখ্যক শরণার্থীরা। এদের মধ্যে প্রায় চার লাখ ৫৫ হাজার শরণার্থী সিরিয়া এবং এক লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশিসংখ্যক শরণার্থী আফগানিস্তান থেকে এসেছেন। বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর স্রোত সামলানোর জন্য কয়েকটি ইইউ সদস্য দেশ ইইউ’র সীমান্তবিহীন শেঙ্গেন এলাকার আওতাধীন হওয়া সত্ত্বেও নিজ নিজ সীমান্তে বেড়া বসিয়েছে এবং প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। গত সপ্তাহে শরণার্থীদের অন্যতম প্রবেশপথ গ্রিসে ইইউ’র সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের আয়তন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রিসে পৌঁছানোর পর অধিকাংশ শরণার্থী দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের দেশগুলো হয়ে উত্তর ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উত্তর ইউরোপে যাওয়ার যাত্রাপথ হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে আসা শরণার্থীদের গ্রিক সীমান্ত দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলকান রাষ্ট্র মেসিডোনিয়া। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, চলতি বছর বাধ্যতামূলক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে ছয় কোটি ছাড়িয়ে ‘আরো অনেক দূর’ অবধি পৌঁছাতে পারে।