জাতীয় ডেস্ক ।। পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী পাঞ্জাবের একটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স (আইএএফ) সদস্য ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে তুমুল গুলিবিনিময় হয়। এতে দুই সেনা ও চার সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এক আইএএফ সদস্যসহ নিহতের সংখ্যা তিন। শনিবার ভোরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তান সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে হামলায় অন্তত ছয়জন সন্ত্রাসী অংশ নেয়। বাকি হামলাকারীদের ধরতে বিশাল অভিযান শুরু করা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আইএএফে সদস্যদের গুলিতে দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। হামলাকারীরা সেনাবাহিনীর পোশাকে এসেছিল। হামলার পর এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। আশপাশের এলাকাগুলোতে উচ্চ-সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে ভারতের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে,হাইজ্যাক করা একটি পুলিশ কার ওই হামলায় ব্যবহার করে বন্দুকধারীরা। তাদের গায়ে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা ছিল। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গোয়েন্দার সংস্থার একটি সূত্র তাদের জানিয়েছে, তারা হামলার পর ফোনের কথোপকথন যাচাই করে জানতে পেরেছে হামলাকারীরা ফোনে বেশ কয়েকবার পাকিস্তানের কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। তাই পাকিস্তান থেকেই এ হামলার চক্রান্ত করা হয়েছে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী জায়েশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এ হামলা চালাতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) এ হামলার পর সাহায্য চেয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে পুলিশবাহিনীর হেলিকপ্টার ও সদস্য পৌঁছেছে।