গোপাল সিং, খোয়াই, ০২ জানুয়ারী ।। ‘বয়স যখন চার কিংবা পাঁচ, তখন ত্রিপুরার উপর দিয়েই আদি বাড়ী পূর্ব পাকিস্তানে গিয়েছিলাম। তারপর একবিংশ শতাব্দিতে এসে ত্রিপুরার যে চেহারা দেখেছিলাম তাই চাইতে বদলে গেছে বর্তমান ত্রিপুরা। রাজ্যের রাজ্যপাল হিসাবে এসে অন্তত তাই দেখলাম। তবে বদল বলতে বুঝি আধুনিক হয়েছে, মানুষ বেড়েছে, চেহারাটা অন্যরকম হয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা কমে গেছে। কিন্তু ত্রিপুরাতে হিংসাত্মক আতঙ্ক, সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ একেবারেই বিলুপ্ত। ৮০’র দশকের ভিতিগ্রস্থ ত্রিপুরার চেহারা বদলে গিয়ে বর্তমানে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি বিরাজ করছে। খোয়াইতে এসে এমনটাই বললেন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
বললেন, গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্র ও তার সাংবাদিক। এই সাংবাদিকরাই যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারে তাহলে গনতন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে। ত্রিপুরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, খোয়াই বিভাগীয় কমিটি আহুত শারদ সম্মান ২০১৫’ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এই বার্তাই দিলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার খোয়াই নৃপেন চক্রবর্তী এভিন্যু স্থিত মোহর মুক্ত মঞ্চে এই অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, বিধায়ক পদ্মকুমার দেববর্মা, ত্রিপুরা রাজ্য তথ্য আয়োগ-এর সচিব ড. মানস দেব, সংগঠনের রাজ্যসভাপতি দিবাকর দেবনাথ। রাজ্যপাল তথাগত রায় শারদ সম্মান তুলে দেন হামবাই, বাঘাযতীন ও ফাইনাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে। এরপরই আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের স্বাধীনতার ক্ষমতা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা জরুরী। তিনি দু:খের সঙ্গে বলেন ‘পেইড নিউজ’ অর্থ্যাৎ টাকা দিয়ে খবর ছাপানো এটা চলছে। সেই সঙ্গে খবরের সঙ্গে মতামত প্রকাশের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে সাংবাদিকতায়। যা সর্বভারতীয় সংবাদপত্রেও দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়টি রোধ করার কথাও তিনি বলেন। রাজ্যপাল বললেন, সংবাদপত্র বা সাংবাদিক না হয়েও এখন দেশে নতুন সাংবাদিক ঘরে ঘরে। টুইটারে, ফেইসবুকে ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়াগুলি ভাল ভূমিকা নিচ্ছে।
অপরদিকে বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা রাজ্যের সংবাদপত্রগুলির বেহাল দশার কথা তুলে ধরেন। সরাকারী বঞ্চনা যে সংবাদ পত্রের উপরও রয়েছে তা উল্লেখ করে বিধায়ক বলেন বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠানগুলিতে সঠিক মুল্যে সঠিক মাত্রায় বিজ্ঞাপনই দিচ্ছেনা। এছাড়াও আলোচনা করেন বিধায়ক পদ্মকুমার দেববর্মা।