দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ০৪ জানুয়ারী ।। প্রাকৃতিক দূর্যোগের আগাম পূর্বাভাষ কোন কোন ক্ষেত্রে বিজ্ঞান দিতে পারলেও ভূমিকম্পের পূর্বাভাষ এখনো গবেষনালব্ধ স্তরে। রবিবার রাতের শেষে সোমবারের সকালের সূর্যোদয়ের আগেই বিভীষিকা পর্ব অপেক্ষা করে আছে ঘুনাক্ষরেও মালুম হয়নি। ত্রিপুরা সহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল, সন্নিহিত বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলেও ভূমিকম্পনের আতঙ্কেই ঘুম ভেঙ্গেছে মানুষের। স্বভাবতই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিশাল অঞ্চলজুড়ে। মনিপুরের ভারত-ময়ানমার সীমান্ত ছিল এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ভূমিকম্পে মনিপুরেই সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ৬.৮ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্পে গোটা ত্রিপুরায় ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে। শঙ্খ, ঘন্টা, উলুধ্বনি শুরু হয়ে যায় চারদিকে। তীব্রতার প্রশ্নে সোমবারের ভূমিকম্প ছিল সর্বোচ্চ মাত্রার। ভূমিকম্পের সময় বহু মানুষ রাস্তায় আর খোলা জায়গায় ছুটে যান প্রান বাঁচাতে। অনেকেই বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন – সবমিলিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই তীব্র ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন আগামীর আশঙ্কায়। মোবাইলে অনেকেই আত্মীয় স্বজনের খোঁজ খবর নিতে উদগ্রীব হয়ে পড়েন। সকাল ৪টা ৩৫ মিনিটের ভূমিকম্পের পরবর্তীতে ত্রিপুরায় সকাল ৮টা ২৮ মিনিট এবং প্রায় ৯টা ৩০ মিনিটেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
একনজরে বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পের তীব্রতার পরিমান।