৯/১১ সন্ত্রাসের নিহতদের স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানালেন নরেন্দ্র মোদী

10157206_848340475199675_4181172625993476568_nনিউইয়র্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর ।। নিউইয়র্কে  ৯/১১ সন্ত্রাসের সৌধে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন সমৃদ্ধির প্রতীক টুইন টাওয়ারে আল কায়েদা বিমান হামলা চালায় ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। সেই জঙ্গি হামলার বলি হন শতাধিক নিরীহ মানুষ।

ভয়াবহ সন্ত্রাসে নিহতদের স্মৃতিতেই টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে  সৌধ গড়ে তোলে মার্কিন প্রশাসন। আজ বিকেলে সেই সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা  জানান প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

পাঁচদিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে শুক্রবার নিউ ইয়র্কে পৌছন নরেন্দ্র মোদী।এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম লক্ষ্য হল আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক তথা বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করা। কিন্তু তার আগেই মোদীর সংস্কারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন বণিকমহল। তবে ভালো খবর এটাই যে মোদীর সফরের আগেই দেশের ঋণ নীতির ক্ষেত্রে এস অ্যান্ড পি-র রেটিংয়ে উঠে এলো ভারত।

রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় অংশ নিতে প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে নরেন্দ্র মোদী। ফ্রাঙ্কফার্ট হয়ে শুক্রবারই নিউ ইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। প্রধানমন্ত্রীকে  স্বাগত জানান ভারতীয় কূটনীতিকরা। নিউ ইয়র্কে তিন দিন থাকবেন নরেন্দ্র মোদী। শনিবারই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় তাঁর ভাষণ। এরপর তিনি যাবেন ওয়াশিংটনে। উনত্রিশ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হোয়াইট হাউজে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে নবরাত্রির উপোস থাকায় সেখানেও তাঁর মেনুতে স্রেফ চা আর লেবুর সরবত। নিজের প্রথম মার্কিন সফরে মোদীর অন্যতম লক্ষ্য হল ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করা। তিরিশ তারিখ হোয়াইট হাউজে বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠকে সেই বার্তাই তিনি দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে বহুজাতিক সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই সংস্কারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন বণিকমহল। তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মুক্ত বাণিজ্যের কথা বললেও তিনি যেসব নীতি নিচ্ছেন, তাতে দু দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যের পথ আরও দুর্গম হবে। বিষয়টি তাঁরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে বলেছেন। তাঁদের দাবি, মোদীর সঙ্গে বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হোক বারাক ওবামারা।

যাতে আগামী দিনে মুক্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও উদার নীতি গ্রহণ করে মোদী সরকার। এদিকে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম মার্কিন সফরের আগেই দেশের ঋণ নীতির ক্ষেত্রে এস অ্যান্ড পি-র রেটিংয়ে উঠে এলো ভারত। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ভারতের আর্থিক বিকাশের ক্ষেত্রে এটি খুবই উল্লেখযোগ্য। এরফলে দেশের শেয়ারবাজারও চাঙ্গা হবে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফর কতোটা ফলপ্রসু হয়, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় কাশ্মীর নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নিজের ভাষণে পাল্টা কি জবাব দেন মোদী, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

সৌজন্যে জি নিউজ।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*