জাতীয় ডেস্ক ।। রেড রোডে দুর্ঘটনায় বায়ুসেনা কর্মীর মৃত্যুতে পুলিসের গাফিলতির দিকেই আঙুল উঠছে। ক্ষুব্ধ সেনাকর্তারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে গোটা ঘটনা জানিয়েছেন। চলছে সেনা মহড়া। গাড়ি আটকাতে রাস্তায় ব্যারিকেড। দু-দুবার সেই ব্যারিকেড ভেঙে এক সেনাকর্মীকে পিষে দিয়ে পালিয়ে গেলেন গাড়ি চালক। কোনও জায়গাতেই তাঁকে বাধাই দিতে পারল না পুলিস। খিদিরপুর থেকে রেড রোডের দিকে যাওয়ার পথে ফোর্ট উইলিয়মের সাউথ গেটে গাড়ি আটকানোর জন্য ছিলেন না কোনও পুলিসকর্মী। ফোর্ট উইলিয়মের সাউথ গেটে সিসিটিভি থাকলেও ব্যারিকেড ভাঙার খবর কন্ট্রোল রুম থেকে ঘটনাস্থলে পৌছয়নি। তাহলে কি কন্ট্রোল রুমে সিসিটিভি মনিটর করার লোক ছিল না?
ফোর্ট উইলিয়মের ইস্ট গেটে পুলিস থাকলেও ব্যারিকেড ভেঙে ইউ টার্ন নেওয়ার সময় গাড়িটিকে আটকাতে পারলেন না তাঁরা। বায়ুসেনার কর্মীকে পিষে দিয়ে বিনা বাধায় খিদিরপুরের দিকে পালিয়ে গেলেন গাড়ি চালক।
এই গাফিলতির দায় কার?
দুর্ঘটনার সময় চলছিল সেনা মহড়া। প্রথম সারিতে ছিলেন অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। তার পর ছিলেন নৌবাহিনী, বায়ুসেনা, বিএসএফ এবং বায়ুসেনা পুলিসের কর্মীরা। শেষ দুটি সারি টপকে পিছন দিক থেকে বায়ুসেনার মহড়া প্রশিক্ষক অভিমন্যু গৌড়কে পিষে দেয় গাড়ি। সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কলকাতার রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকে ট্র্যাফিক পুলিস। রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত রাস্তার দায়িত্বে থাকে স্থানীয় থানা, কলকাতা পুলিসের অয়্যারলেস ব্রাঞ্চ, কুইক রেসপন্স টিম ও স্পেশাল আর্মড ফোর্স। দুঘর্টনা ঘটে সকাল ৬টা ৮ মিনিটে।
পুলিসের দুই বিভাগের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তরের সময়েই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। যখন কার্যত নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ছিল রেড রোড সংলগ্ন এলাকা। গার্ড রেল ভেঙে কেউ ঢুকছেন কিনা তা দেখার জন্য ছিলেন না কোনও পুলিসকর্মী। পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার পর দেশের বিভিন্ন সেনা ছাউনির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রেড রোডে মহড়ার সময় সেনাকর্মীরা কেউই আচমকা আক্রমণ সামাল দেওয়ার মতো সতর্ক থাকেন না। তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে পুলিসের ওপর। বেপরোয়া অডি গাড়ির চালক বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, এই শহরেও সেনারা নিরাপদ নন। তথ্যসূত্র – ২৪ ঘন্টা।