দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৪ জানুয়ারী ।। ঋতু বৈচিত্রের মতোই রঙ্গীন এই ভারতবর্ষের পারস্পরিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল থেকে লোকাচারের চারন ক্ষেত্রের বিস্তীর্ণ পরিসর। স্ময়ের পরিক্রমায় এদেশের নানা জাতিগোষ্ঠী মেতে উঠে উৎসব পার্বণে একেক সময়ে। ‘মকর সংক্রান্তি’ হচ্ছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌষের শেষের এই পার্বণ নানা নামে পালন করা হয়।

মূলতঃ ফসল তোলার সঙ্গেই সংক্রান্তির সম্পৃক্ততা। আধুনিকতার নাগপাশে নগরের জীবন যখন দ্রুত বদলাচ্ছে যেখানে এখনো সূদুর গ্রামাঞ্চলে ‘মকর সংক্রান্তি’ এখনো জীবনের আনন্দে উদ্ভাসিত।
ঢেকিতে চালের গুঁড়ো করতে করতে যখন মহিলারা অদ্ভুৎ সুরে গেয়ে উঠেন গান মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে মাদকতার রেশ, গাঁয়ের মাঝে ক্ষুদেরা কাটা ধানের শেষ অংশ দিয়ে তৈরী করে বুড়ীর ঘর সংক্রান্তির সূর্য উঠার আগে স্নান করে বুড়ীর চালায় আগুন

দিয়ে আনন্দে মেতে উঠে, সঙ্গে ভুড়ি ভোঁজ। নানা জাতের, নানা নামের সুস্বাদু পিঠে পুলি, পায়েসের গন্ধে ভরে উঠে গ্রা থেকে গ্রামান্তর। মিশ্র প্রজাতির এই ছোট্ট রাজ্যেও ‘মকর সংক্রান্তি’ উৎসবের আবহ সৃষ্টি করে – তবে গ্রামের সঙ্গে শহরের অভিব্যক্তি স্পষ্টতই প্রতীয়মান।