দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ২১ জানুয়ারী ।। ত্রিপুরার পথে প্রান্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রাজ শাসনের নিদর্শন। কালের শ্রোতধারায় রাজশাসনের অবলুপ্তি ঘটেছে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি আর পটভূমিকার পরিবর্তনে এই ছোট্ট পাহাড়ী রাজ্য ১৯৪৯ সালের ১৫ই অক্টোবর ভারতের সঙ্গে যোগ দেয়। ১৯৫০ সালে ২৬শে জানুয়ারী এদেশের সংবিধান চালু হয়, তখন ত্রিপুরা ছিল ‘গ’ শ্রেণীর রাজ্য। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বহু পর্ব
অতিক্রম করে ১৯৭২ সালের ২১শে জানুয়ারী পূর্ণ রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ত্রিপুরা। সময়ের বিচারে ২০১৬ সালের ২১শে জানুয়ারী হচ্ছে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদায় ভূষিত হওয়ার ৪৫তম বর্ষ।
বৃহস্পতিবার গোটা ত্রিপুরায় পূর্ণ রাজ্য প্রাপ্তির সময়কে স্মরনে রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজ শাসনের অবলুপ্তি, তৎকালীন প্রেক্ষাপট, গনতন্তের জয়যাত্রা, জনতার ক্ষমতা, প্রশাসনিক সংস্কার, সামগ্রিক উন্নয়ন, কালের পরিক্রমায় অতীত থেকে বর্তমানের পরিস্থিতির কথাই উঠে এসেছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পূর্ণ রাজ্য প্রাপ্তির আয়োজিত আলোচনাচক্র থেকে জ্ঞানীগুনীদের ভাষন বক্তৃতায়। ৪৫তম পূর্ণরাজ্য প্রাপ্তির রাজ্যজুড়ে অনুষ্ঠানের সঙ্গে আগরতলাস্থিত রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ২১ থেকে ২৩শে জানুয়ারী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনের সূচনা করেছেন মাননীয় রাজ্যপাল তথাগত রায়। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, TTAADC-র মূখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা, বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায় বর্মণ, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ডঃ প্রফুল্লজিৎ সিনহা, মুখ্য সচিব ওয়াই পি সিং সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।