স্বাস্থ্য ও সচেতনতা ডেস্ক ।। ঝক ঝক ত্বক-মুখমণ্ডল সবাই চায়। কিন্তু যৌবনে এসে অনেকের নিখুঁত ত্বকে বাসা বাঁধে ব্রণ। বয়ঃসন্ধিকালে প্রায়ই সবার মুখেই এটা দেখা যায়। এটা ত্বকে যেমন ক্ষত সৃষ্টি করে, তেমন মুখমণ্ডলের লাবণ্য কেড়ে নেয়। মানুষকে চরম ভোগায়।
মুখের ব্রণ চিকিৎসায় উন্নত ক্রিম ও লোশন ব্যবহার করা হয়। এ জন্য বড় বড় চিকিৎসকদেরও শরাণপন্ন হন অনেকে। অনেক সময় ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানে তৈরি লোশন ও ক্রিম ব্রণ সারানোর চেয়ে ত্বকের উপকারী কোষগুলোকে মেরে ফেলে, ফলে ত্বকে নানা জটিল রোগ হয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক প্রতিকার সর্বদা ভালো কাজ করে। প্রাচীনকাল থেকেই এ প্রাকৃতিক এ উপাদান ব্রণ ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। এ পদ্ধতি আপনার ত্বক থেকে চিরদিনের জন্য ব্রণ, কুঁচকানো ভাব, ক্ষত ও কালো দাগ দূর করে সহজেই। এগুলো ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়, মসৃণ ও নরমও করে। প্রাকৃতিক এ উপাদান ক্ষতস্থানে লাগালে ত্বকে কোনো ক্ষতি করবে না।
যেভাবে প্রাকৃতিক এ উপাদান তৈরি করবেন?
খুব সহজে বাড়িতে বসে এ উপাদান তৈরি করা যায়। এ জন্য এক চামচ মধু, তাজা লেবুর রস এবং এক বা আধা চামচ দারুচিনির পাউডার ও জায়ফলের পাউডার প্রয়োজন। এগুলো একটি পাত্রে নিয়ে সামান্য জল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। আপনার ত্বক যদি খুবই সংবেদশনশীল হয়, তাহলে লেবুর রস বাদ দিতে পারেন, আবার রাখতেও পারেন। তবে বেশি করে মধু নিতে ভুলবেন না।
তবে আপনার মুখমণ্ডলে লালচে লালচে ব্রণের উপস্থিতি বেশি থাকলে মশলাদার এ উপাদানে মধুর পরিবর্তে সাদা ও লাল মাটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে অনুপাতে কোনোভাবেই যেন বেশি না হয়- সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
এর পর এটা চোখ ও মুখ বাদে সারা মুখমণ্ডলে ভালোভাবে ব্যবহার করুন। পুরো মুখমণ্ডলে এটা লেপটে দিন। আধা ঘণ্টা পর এগুলো তুলে ফেলুন। কিছু সময় সামান্য জ্বলা ও অস্বস্তিকর অনুভূতি তৈরি হতে পারে। তাই বলে তাড়াতাড়ি মুখ ধুয়ে ফেলবেন না। পাঁচ মিনিটেই এ অস্বস্তি থাকবে না। কয়েক দিন ব্যবহার করুন, দেখবেন আপনার মুখে ব্রণ নেই, ত্বকও উজ্জ্বল ও মৃসণ হয়েছে।