দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ১০ নভেম্বর ।। শহরের বুকে পর্দার অন্তরালে ভাইরাসের মতো সংক্রামিত হচ্ছে পাপাচার বাণিজ্যের। উপরি কামাইয়ের নেশায় মোহগ্রস্থ হয়ে বনেদী থেকে চালচুলোহীন অনেকেই নেমে পড়েছেন এই ধান্দায়। কোথাও অভাবের তাড়নায় কোথাও আবার অজান্তেই পা বাড়িয়ে কেউ পাকা খিলাড়ী। চুটিয়ে দেহ ব্যবসাকে পুঁজি করে অনেকেরই স্ফীতকার হচ্ছে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স। পাপাচার পর্ব শহরের যে সব স্থানে হচ্ছে নগরবাসীর জানা নেই একথা একেবারেই মানা যাচ্ছে না। তবে পেশী শক্তি আর অর্থবলে বলিয়ান পাপের কামাইয়ের কারিগরদের রোষানলের ভয়ে সব জেনেও সবাই চুপ। এই ক্ষেত্রে কৃষ্ণনগরের অ্যাডভাইজার চৌমুহনীর ঘটনা নিয়ে স্থানীয় মানুষের ভূমিকা শুধু অভিনন্দনযোগ্যই নয় – অনুকরনীয়, কারন প্রতিবেশী মানুষের প্রতিরোধের ঘটনা আগামীতে এই প্রজন্মকে পাপের বাজারে গা-ভাসিয়ে রোজগারের ধান্দা থেকে দূরে থাকতে এ হেন ঘটনার অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। মানুষ আর পুলিশের একীভূত শক্তিতেই নিহিত রয়েছে সামাজিক কলঙ্কের কলূষিত ঘটনা ইতি টানার। আধুনিক প্রথিবীর বুকে আগরতলার এই ঘটনা সামাজিক অগ্রগতির পথে এমন এক সর্বনাশা ব্যরিকেড থাকে যে কোন মূল্যে অতিক্রম করতেই হবে আমাদের – আগামীর প্রজন্মকে বাঁচাতে।