সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ২৯ অক্টোবর || মৎস্য দপ্তরের চরম গাফিলতির কারণে সাম্প্রতিককালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আড়াই মাস পরও কোন সরকারী সাহায্য পায়নি মৎস্যজীবিরা। ফলে রাজ্য এবং এডিসি’র মৎস্য দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুসছে মৎস্যজীবিরা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের আগস্ট মাসের লাগাতর লাগামহীন ঝড় বৃষ্টিতে ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়। উক্ত বন্যায় রাজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। উক্ত বন্যায় সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ী, জমি ফসল এবং মৎস্যজীবিদের নিজস্ব পুকুর, লেইক, জলাশয় জলের তলায় তলিয়ে যায়। এতে বহু লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েন মৎস্যজীবিরা। বহু মৎস্যজীবির নিজের পুকুর, লেইক এবং জলাশয় থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ বাইরে তথা ডম্বুর জলাশয়ে চলে যায়। গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত সাতাশটি এডিসি ভিলেজে কম করেও কয়েকশো পুকুর লেইক ডম্বুর জলাশয়ের জলের তলায় তলিয়ে যায়।
বন্যার পরই গন্ডাছড়া মহকুমা শাসক চন্দ্রজয় রিয়াং জরুরি ভিত্তিতে ধলাই জেলা শাসকের নির্দেশে গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সভায় মিলিত হন। সভায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যপ্ত সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মোতাবেক বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়। অনাকাংঙ্খিত বন্যায় যে সমস্ত পরিবারের ঘরবাড়ী ক্ষতি হয়েছে সেগুলি দেখবেন এবং সাহায্য সহযোগীতা করবেন মহকুমা শাসক। বন্যায় যেসমস্ত কৃষকদের জমি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা দেখবেন মহকুমার কৃষি মহকুমা দপ্তর। বন্যায় যেসমস্ত মৎস্যজীবীদের নিজস্ব পুকুর লেইক জলের তলায় তলিয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা দেখার বা পর্যপ্ত আর্থিক সাহায্য প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয় মৎস্য দপ্তরকে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সঠিক সময়ের মধ্যে তদন্ত করে মহকুমা শাসক, কৃষি মহকুমা দপ্তর ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে বন্যার ক্ষতিপূরণ তুলে দেন। কিন্ত বন্যার আড়াই মাস পাড় হতে চললেও গন্ডাছড়ায় একপয়সাও ক্ষতিপূরণ পাননি মৎস্যজীবীরা। গন্ডাছড়া মহকুমার মৎস্য খামার অফিসে গিয়ে বন্যার ক্ষতিপূরণের খোঁজ খবর নিতে গেলে আজ নয় কাল করে মৎস্যজীবীদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখা হচ্ছে। বহু মৎস্যজীবি ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন সাম্প্রতিককালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মৎস্য দপ্তর। খূব সহসাই লিখিত ভাবে ঘটনাটি জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্যজীবিরা।