বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ০৪ অক্টোবর ৷। গোটা বিশ্বজুরে চলছে করোনা ভাইরাসের মহামারি। এই মহামারি থেকে লোকজনদের রক্ষার জন্য রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিনিয়ত নানান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এই ভাইরাস থেকে লোকজনদের রক্ষার জন্য যান চলাচলের ক্ষেত্রেও কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার। এই মহামারি চলাকালিন সময়ে প্রত্যেক গাড়ীতে দুরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিমানে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশিকা জারি করা হলেও এই নির্দেশিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে বগাফা বনদপ্তরের কর্মীরা। এমনটাই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। রবিবার বগাফা বনদপ্তরের উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার এলাকায় একটি গাড়ী নিয়ে প্রচারে বের হয় বনদপ্তরের কর্মীরা। বাজার থেকে একটি টাটা মেজিক গাড়ী ভারা করে এই প্রচার অভিযান চালানো হয়। কিন্তু দেখা যায় গাড়ীর মধ্যে চাপাচাপি করে প্রচারে বের হয় বনদপ্তরের কর্মীরা। এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায় যেন রনসব্জায় বের হয়েছে বগাফা বন দপ্তরের কর্মীরা। এই নিয়ে বন দপ্তরের দুই বীট অফিসারের নিকট জানতে চাইলে উনারা মুখে কুলু পেতে বসে রয়েছেন। অপরদিকে যান চালকের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, গাড়ীতে ৫ জন যাত্রী বহন করা ধায্য করা হয়েছে। কিন্তু বন দপ্তরের ৯ জন কর্মী এই গাড়ীতে যাতায়ত করছে। গাড়ীতে চালক সহ মোট ১০ জন। বনদপ্তরের এই ধরনের চিত্র লক্ষ্য করে উদের ভূমিকা নিয়ে তীব্র গুঞ্জন চলছে লোকমনে। সাধারন লোকজন মাক্স পরিধান না করলে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখলে তাদেরকে জরিমানা ভরতে হয়। তাছাড়া এই মহামারি থেকে বাঁচতে হলে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হয়। কিন্তু বগাফা বন দপ্তরের কর্মীরা প্রসাশনিক স্তরের লোক হয়েও কি করে এমন কাজ করছে? এমনকি বগাফা বন আধিকারিক জয়নাল্য ভট্টাচার্য্য কি করে এই ধরনে কাজকে পশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে এই নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন চিহ্ন।