পি এম শ্রী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রতীষ্ঠা দিবস ও বার্ষিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ১৫ ডিসেম্বর || ১৫ই ডিসেম্বর পি এম শ্রী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় বগাফার প্রতিষ্ঠা দিবস। এদিন সরকারি ছুটি থাকার কারনে শনিবার বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বিদ্যালয়ের ৬২’তম প্রতিষ্ঠা দিবস উৎযাপন করা হয়। এদিন এই প্রতিষ্ঠা দিবসের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের বার্ষিক অনুষ্ঠান করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করলেন ১১৪নং ব্যাটেলিয়ান বি এস এফ’র কমানডেন্ট মহেন্দ্র সিং। উদ্ভোধকের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপল রাশেষ মিনা, শান্তিরবাজার মহকুমাশাসকের কার্যালয় থেকে ডি সি এম সইফউদ্দিন আহমেদ, বিশাল গোস্মামী, সুশেন বৈদ্য সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের পুরষ্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানের বক্তব্যের মাধ্যমে এই বছরে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাফল্যের দিকগুলি সম্পর্কে জানান দেন বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপল রাজেশ মিনা। পি এম শ্রী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় বগাফায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরমধ্যে দুইটি নাটক সকলের মনজয় করে নেয়। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদের প্রতিভা দিয়ে কিভাবে বাড়ী ঘরের ন্যায় সমাজের বিভিন্ন জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা যায় তা তুলে ধরে। সকলে প্রতিনিয়ত নিজেদের ঘরবাড়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে কিন্তু দেখা যায় বাড়ী ঘরের বাইরে রাস্তাঘাটে ময়লায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। এই আবর্জনা থেকে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। তাই লোকজনদের সুস্থ রাখতে ও সমাজকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে কি করনীয় প্রয়োজন তা নাচ গানের মধ্যে তুলে ধরা হয়। অপর একটি বিশেষ দিক হলো বর্তমান সময়ে সোসাল মিডিয়ার সকলে আশক্ত হয়ে পরেছে। যার মধ্যে রয়েছে ফেইসবুক, হোয়াটসআ্যপ, টিকটক, ইনষ্টাগ্রাম, গুগুল। লোকজন নিজেদের অধিকাংশ সময় এই সকল সোস্যাল মিডিয়ায় কাটিয়ে দেন। এতে করে পরিবারের লোকজন, পাড়াপ্রতিবেশী, আত্মীয়সজকে সময় দিতে পারেনা। নিজেদের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে দিনকাটানোর যে আনন্দ তা ভুলে যাচ্ছে সকলে। ছেলেমেয়েদের এখন মাঠে খেলাধূলা করতে দেখা যায় না। এই সোস্যাল মিডিয়ার নেশা একদিন সবাইকে সর্বনাশের দিকে নায়ে যাবে তাই সোস্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকারক দিকগুলো ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদের প্রতিভার মাধ্যমে সকলের সামনে তুলে ধরে যা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের মন কেরে নেন। বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ও বিদ্যালয়ের সফলতা কামনা করেন উদ্বোধক।
এই অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ছাত্রীদের অভিবাবকরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা যায়।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*