আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ ফেব্রুয়ারী || আগরতলা পুর নিগম থেকে আগরতলা শহরের প্রতিটি বাজারকে অধুনিক মানের বাজারে পরিণত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক রাজধানীর লেইক চৌমুহনী বাজারটিকেও উন্নত মানের বাজারে পরিণত করার জন্য বেশ কয়েক দফা বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। লেইক চৌমুহনী বাজারে পিছনের দিকে বাঁধের পাড়ে যে সকল ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে অস্থায়ী ও স্থায়ী ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিলেন, তাদেরকে তাদের দোকানপাট ভেঙ্গে ফেলার জন্য বলা হয়। কিন্তু তারপরও তারা তাদের দোকানপাট ভাংছিলেন না।
অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোরে আগরতলা পুর নিগম থেকে এই সকল দোকানপাট ভেঙ্গে ফেলা হয় ড্রজার দিয়ে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এদিন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, তাদেরকে ব্যবসা করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। কারন খোলা আকাশের নিচে বসে ব্যবসা করা সম্ভব নয়।
এদিন উচ্ছেদ অভিযান শেষে সংশ্লিষ্ট বাজার পরিদর্শনে যান বিধায়ক তথা আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। তিনি কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে। পরে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মেয়র বলেন, লেইক চৌমুহনী বাজারকে নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ ছিল। ইতিপূর্বে বাজার কমিটির সাথে কথা বলা হয়েছে। দুইবার সার্ভে করে দেখা গেছে শতাধিক দোকান রয়েছে যেগুলি অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এইদিন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সেই সকল দোকান গুলিকে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদেরকে পরবর্তী সময় ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
এদিন উচ্ছেদ অভিযানের পর লেইক চৌমুহনী বাজার পরিদর্শনে যান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সহ সিপিআই(এম)’র এক প্রতিনিধি দল। মানিক সরকার কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে।
এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, যে ভাবে উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে এইটা অমানবিক। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত গরীব। পুর নিগমের উচিত ছিল আগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা।