আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বহুসংখ্যক ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষা নিতে পারেনি। আর তাই তারা অভিনব এক প্রতিবাদ জানাল। তারা নিজেদের সার্টিফিকেট সমুদ্রে ভাসিয়ে দিল। ইসরাইলের পাশাপাশি মিশর গাজার রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়ায় তারা কোনো দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না।
এরই ফলে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ। রোববার এ অবস্থার প্রতিবাদে তারা তাদের মাধ্যমিক ও ডিপ্লোমা পর্যায়ের সার্টিফিকেট সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়। এ কাজে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে জানান, তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের মানবতাবোধের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।
আরেক ছাত্রী জানায়, সে বিদেশি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু অবরুদ্ধ থাকায় গাজা থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে লেখপাড়া অব্যাহত রাখা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
গাজা যুদ্ধের পর রাফাহ এবং অন্য ক্রসিং প্রয়েন্টগুলো খুলে দেয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত ইসরাইল ও মিসর তা করেনি। এ কারণে অন্তত ২৫ হাজার রোগি ও শিক্ষার্থী গাজা থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
রাফাহ ক্রসিং বন্ধ রাখায় অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক বলছেন, মিসর সরকার ইসরাইলের হয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
গাজার শিক্ষার্থীরা আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসিকে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র : প্রেস টিভি