গোপাল সিং, খোয়াই, ২৮ অক্টোবর ।। খোয়াই-আশারামবাড়ী সড়ক বন্ধ করে নিরীহদের মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার থেকে গাড়ী চালকরা গাড়ী চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। কারন পুলিশ কর্মীর সামনেই চালক মারধরের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোন ভূমিকা নিচ্ছেনা বলেই অভিয়োগ চালকদের। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন এখন অবধি ঘটনার তদন্তে আশারামবাড়ী এলাকায় পা-ও রাখেনি। এসকল বিস্তর অভিযোগ তুলেই গাড়ী চালকরা এই রুটে গাড়ী চলাচল বন্ধ রেখেছেন। তবে চালকদের অভিযোগ বিষয়টি সিআইটিইউ সংগঠনকে জানানো হলে, সংগঠনের নেতৃত্বরা নাকি ঝুঁকি নিয়েই গাড়ী চলাচলের নির্দেশ দেন। কিন্তু সংগঠনের নেতৃত্বদের এই নির্দেশ চালকরা মানতে পারেনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাতে যেমন তারা রাজী নন, তেমনি সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে পা রাখতে ও রাজী নন। চালকদের সরাসরি আহ্বান জাতি-উপজাতির মধ্যে কোন সংঘর্ষ নয়, ঐক্য চাই। তাই কোন অশান্তি সৃষ্টি না করে বোঝাপড়ায় চাইছেন গাড়ী চালকরা। আর সবচাইতে লক্ষনীয় বিষয় হল, সিঙ্গিছড়া নিবাসী যে অটো চালক শারীরিকভাবে নিগৃহ হয়েছে, সেও বোঝাপড়ার মধ্যেই শান্তি-সম্প্রীতির পক্ষে আওয়াজ তুলেছে।
কিন্তু এসবের মধ্যেই পুলিশি নিস্ক্রিয়তার কারনে যাত্রী দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। এমনকি যারা বিগত দিনে খোয়াই হাসপাতালে ভর্ত্তি ছিলেন কিংবা দূর্গাপূজায় শহরে নিকটাত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে এসেছিলেন তারা এখন নিজ নিজ বাড়ীতে ফিরতে পারছেন না। প্রত্যেকের সাথেই রয়েছে শিশু থেকে বৃদ্ধ। তারমধ্যে সাধারন খেটে-খাওয়া মানুষ, দুদিন যাবত কি করে শহরের মধ্যে কাটাচ্ছে, কি হালে রয়েছেন তারা? এই প্রশ্নের উত্তর দেবে কে?
আশারামবাড়ী সড়কের দখল সিং বাড়ী এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন এবং পুলিশ কোন ভূমিকা গ্রহন না করায় জনমনে বাড়ছে ক্ষোভ। চাম্পাহাওড় থানার পুলিশ কেন কোনও ভূমিকাই গ্রহন করছেনা তাও ধুঁয়াশার মধ্যেই। সাম্প্রদায়িক উষ্কানির মধ্যে গাড়ী ভাঙচুর, গাড়ীর চালক নিগৃহ হবার পাশাপাশি শিক্ষককে শারীরিকভাবে হেনস্থা ও ব্যাপক মারধর করা হচ্ছে। সেই শিক্ষক বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এমন পরিস্থিতি না সামাল দিয়ে উল্টো নেতাদের হুমকির মুখে পড়ছেন খুদ নিগৃহিতরাই। এর মধ্যেই আশারামবাড়ী-খোয়াই সড়কে গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারন মানুষের নাভি:শ্বাস।