গোপাল সিং, খোয়াই, ৩১ অক্টোবর ।। কলকাতা থেকে উড়ে এল ডেঙ্গু। সন্ধান মিলল খোয়াইতে। কিন্তু ডেঙ্গু আক্রান্তের চিকিৎসা নিয়ে দায়বদ্ধতার অভাব খোয়াই জেলা হাসপাতালে। এলাকায় ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ম্যাডিকেল টিম গঠন করল না (খবর লেখা পর্যন্ত) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জিবি রেফার করা সত্বেও সরকারী স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য পৌছলেন টিএমসি’তে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, খোয়াই জেলা হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্ত্তি হয়েছিলেন মহাদেবটিলা এলাকার অতুল দেব নামে ৩৬ বছর বয়সী এক ব্যাক্তি। কিছু দিন যাবত জ্বরে ভোগছিলেন তিনি। জানা যায় তিনি কলকাতায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন এবং গত ২৯শে অক্টোবর খোয়াই জেলা হাসপাতালে ভর্ত্তি করানো হয়। সরকারীভাবে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও উনার রোগ নির্ণয় করতে পারেননি চিকিৎসকরা। শেষ পর্যন্ত প্রাইভেট প্যাথলজীতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে অতুল দেব এমপিজেন, আই.জি.জি., আই.এম অর্থ্যাৎ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। বাধ্য হয়েই খোয়াই জেলা হাসপাতাল দ্রুত অতুল দেবকে জিবি স্থানান্তর করে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়ে নেয়। অথচ কত বড় স্পর্শকাতর ঘটনা। যদি কলকাতা থেকে ডেঙ্গু জ্বর এসে থাকে তবে মহাদেবটিলায় অতিসত্বর মেডিক্যাল টিম পাঠানোর প্রয়োজন ছিল। আশাপাশ এলাকায় জনসাধারনের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা অত্যাবশ্যক ছিল বলেই মনে করছেন জনসাধারন। অথচ অবাক করার বিষয় হলো ৩১শে অক্টোবর বেলা ২টা পর্যন্ত খোয়াই জেলা হাসপাতালের এম.এস. ড. ধনঞ্জয় রিয়াং এবিষয়ে কিছুই জানেন না। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে পাওয়া গেলনা। সেই সাথে এম.এস. ড. ধনঞ্জয় রিয়াংকে বার কয়েক জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি কিছুই জানেন না বলে পাশ কেটে চলে যান। এদিকে অতুল দেব নামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে জিবি রেফার করা হলেও তিনি সরকারী চিকিৎসা ব্যবস্থার নমুনা দেখে সরকারী চিকিৎসার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন এবং টিএমসি’তে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্ত্তি হন। এদিকে খোয়াই জেলা হাসপাতালের কর্মসংস্কৃতি নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও স্বাস্থ্য দপ্তর কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা। যার ফলে একজন দক্ষ প্রশাসককে খোয়াই জেলা হাসপাতালে সিএমও হিসাবে জনগন দেখতে চাইছেন। বর্তমানে জেলা হাসপাতালের এম.এস. প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়েই ব্যস্ত থাকেন বলে জনগনের অভিমত।