আপডেট প্রতিনিধি, বক্সনগর, ২০ সেপ্টেম্বর || সীমান্তের পাচার বানিজ্যকে কেন্দ্র করে মারমুখী হামলা সংঘটিত হয় বক্সনগর বাজারে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কলমচৌড়া থানার অধীনস্থ আশাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে প্রায় প্রতিরাতেই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়াকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পাচার বাণিজ্য হয়ে চলছে।
কিন্তু সীমান্তের সেই কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন স্থানে এলাকার জনৈক জুয়েল আলম নামে ব্যক্তির চাষাবাদের জমি থাকায়, নিশিকালীন পাচারকারীর দল সেই সমস্ত চাষাবাদের জমিকে তাদের পাচার কার্য সম্পাদনের সময় দৌড়াদৌড়ি করেতা নষ্ট করে দেয়। যেই ঘটনাটি সীমান্তের এমন পাচার কার্যের সাথে যুক্ত থাকা একাধিক ব্যবসায়ীকে জানানো হলেও সেটা তারা কর্নপাত করেনি। এমন কি মালামাল পাচার কালে সীমান্তে পাহাড়ারত জোওয়ানরা তা দেখতে পেলে যখন পাচারকারীদের দিকে আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে তেড়ে আসে, তখন সেই সমস্ত পাচারকারীগন আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে গেলে পরবর্তীতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত নিরীহ মানুষদের বিএসএফ’র হয়রানির স্বীকার হতে হয়। ফলে প্রায় সময় রাত্রি বেলা জমির মালিক জুয়েল আলম টর্চ লাইট দিয়ে আলো জ্বালিয়ে দূর থেকে জমি দেখতে যান।
এদিকে পাচারকারীদের অভিযোগ তাদের পাচার কার্য সম্পাদনের সময়ে জমির মালিকের দোহাই দিয়ে জুয়েল আলম তাদের পাচার বাণিজ্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। তাই সীমান্তের পাচারকার্যে বাধা দেওয়ার ফলে রবিবার বক্সনগর বাজারে জনৈক ব্যবসায়ী ফকির চান ঘোষের দোকানে শুরু হয় মারমুখী আক্রমণ।
জানা গেছে, ব্যবসায়ী আবু খায়ের মারমুখী ভাবে আক্রমণ চালায় কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন জমির মালিক জুয়েল আলমের উপর।
এলোপাথাড়ি ভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকায় জুয়েল আলম প্রচন্ডভাবে নিগৃহীত হয়।
তবে সেখানে দোকানের মালিক ফকির চান ঘোষ উপস্থিত থাকায় আবু খায়েরের সেই মারমুখী আক্রমণ থেকে জুয়েল আলম প্রানে বেঁচে যায়।
এদিকে পুরো ঘটনার বিবরণ জানিয়ে জুয়েল আলমের তরফে স্থানীয় কলমচৌড়া থানায় আবু খায়েরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলমচৌড়া থানা প্রশাসন তদন্তে নেমেছে।