
উল্লেখ্য, মাইগঙ্গার জন্ম-গত মূক ও বধির অদৃজা সরকারের পরিবারটি আর্থিকভাবেই দুর্বল পরিবার এবং সে তেলিয়ামুড়ার মাইগঙ্গা কলোনী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে অদৃজার বয়স ৪ বছর ৯ মাস। যদিও জন্মগত মূক-বধির শিশু অদৃজা সরকার কিছুদিন পূর্বেই তার জন্মদায়িনী মা’কে হাড়িয়েছিল। স্বভাবতই বলতে হয়, সে মূক-বধির হয়েই জন্মগ্রহণ করে পৃথিবীর বুকে এসেছিল। এইদিকে ৪ বছর ৯ মাস বয়সী এই শিশু অদৃজার এক নিকট আত্মীয়া নিজ প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,
“জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে’র অধীনস্ত এই “RBSK”-র অন্তর্গত একটি স্বাস্থ্য পরিষেবার একটি দল শিশু বাচ্চাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে তেলিয়ামুড়ার মাইগঙ্গা কলোনী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রতিনিয়তই পরিদর্শন করেছিল। তখন এই “RBSK”-র দলটি আমার ছোট্ট শিশু কন্যা অদৃজাকেও পরীক্ষা করেছিল। তৎসঙ্গে এই “RBSK” দলটি আমার ছোট্ট মূক ও বধির শিশু কন্যাকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আমার শিশু কন্যা অদৃজার উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য উন্নত পদক্ষেপ নিয়েছে। এইদিকে মাইগঙ্গার অদৃজা সরকার মেয়েটিকে বিভিন্ন রকম পরীক্ষার করার পরে ডাক্তার বাবুরা পরিশেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, এই শিশুটির মূলতঃই “ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন” সার্জারির প্রয়োজন। যদিও এই সার্জারিতে মূলত অনেক অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল। যা অদৃজার পরিবারের পক্ষে জোগার করা মোটেই সম্ভবপর ছিল না বললেই চলে। তবে অদৃজার পরিবার সূত্রে জানা যায়,
অদৃজা এখন মোটামোটি ভাবে অবিচ্ছিন্নভাবে কথা শোনার মতো ক্ষমতা অর্জন করছে এবং কিছু সময়ের পরে নিজ সাধ্যতে কথা বলাও শুরু করবে।