মাতৃহারা মূক ও বধির শিশু কন্যার জটিল অস্ত্রপাচার সফল

IMG-20201022-WA0015সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ২২ অক্টোবর ৷। “জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন”-র অধীনস্ত “রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য” কার্যক্রমের সহায়তায় একটি মাতৃহারা জন্মগত মূক ও বধির শিশু কন্যার জটিল অস্ত্রপাচার সফল হয়। নাম অদৃজা সরকার। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন মাইগঙ্গা কলোনী এলাকায়। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের দাপাদাপির ফলে যেখানে দেশ তথা রাজ্যজুড়ে পুরো জুবুথুবু সেখানে দাঁড়িয়ে এই অতিমারীর মধ্যেই ২৮-তেলিয়ামুড়া বিধানসভার অন্তর্গত মাইগঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ভারত সরকারের কন্যা অদৃজা সরকার নামে একটি মূক ও বধির মেয়ে সন্তানের পরিবারকে আলোকিত করেছে “জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে”র অধীনস্ত “রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কর্মচক্র” অর্থাৎ “RBSK”। ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের উদ্যোগে, অদৃজা সরকারের সম্প্রতি একটি সার্জারি করা হয়। যার নাম “ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন”। আর এরই সাফল্যের ফলে তেলিয়ামুড়ার পুরো সংশ্লিষ্ট মহল ও অদৃজা সরকারের পরিবারের পক্ষ থেকে এই বর্তমান মহামারী পরিস্থিতিতে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ অলক দেবনাথ এবং ডঃ সঙ্ঘমিত্রা দাস, পাশাপাশি তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রচেষ্টারও বিশেষ প্রশংসা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, মাইগঙ্গার জন্ম-গত মূক ও বধির অদৃজা সরকারের পরিবারটি আর্থিকভাবেই দুর্বল পরিবার এবং সে তেলিয়ামুড়ার মাইগঙ্গা কলোনী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে অদৃজার বয়স ৪ বছর ৯ মাস। যদিও জন্মগত মূক-বধির শিশু অদৃজা সরকার কিছুদিন পূর্বেই তার জন্মদায়িনী মা’কে হাড়িয়েছিল। স্বভাবতই বলতে হয়, সে মূক-বধির হয়েই জন্মগ্রহণ করে পৃথিবীর বুকে এসেছিল। এইদিকে ৪ বছর ৯ মাস বয়সী এই শিশু অদৃজার এক নিকট আত্মীয়া নিজ প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,
“জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে’র অধীনস্ত এই “RBSK”-র অন্তর্গত একটি স্বাস্থ্য পরিষেবার একটি দল শিশু বাচ্চাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে তেলিয়ামুড়ার মাইগঙ্গা কলোনী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রতিনিয়তই পরিদর্শন করেছিল। তখন এই “RBSK”-র দলটি আমার ছোট্ট শিশু কন্যা অদৃজাকেও পরীক্ষা করেছিল। তৎসঙ্গে এই “RBSK” দলটি আমার ছোট্ট মূক ও বধির শিশু কন্যাকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আমার শিশু কন্যা অদৃজার উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য উন্নত পদক্ষেপ নিয়েছে। এইদিকে মাইগঙ্গার অদৃজা সরকার মেয়েটিকে বিভিন্ন রকম পরীক্ষার করার পরে ডাক্তার বাবুরা পরিশেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, এই শিশুটির মূলতঃই “ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন” সার্জারির প্রয়োজন। যদিও এই সার্জারিতে মূলত অনেক অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল। যা অদৃজার পরিবারের পক্ষে জোগার করা মোটেই সম্ভবপর ছিল না বললেই চলে। তবে অদৃজার পরিবার সূত্রে জানা যায়,
অদৃজা এখন মোটামোটি ভাবে অবিচ্ছিন্নভাবে কথা শোনার মতো ক্ষমতা অর্জন করছে এবং কিছু সময়ের পরে নিজ সাধ্যতে কথা বলাও শুরু করবে।
FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*