আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ০৭ জুন || তথাকথিত হীরার রাজ্যে গান্ধীবাদী অহিংস আন্দোলন আজ খুনের অপরাধ থেকেও বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের নীতির বিরোধিতা করা আজ সবচেয়ে বড় অপরাধ বলে পরিগণিত হচ্ছে। কিন্তু এই ক্ষমতার দম্ভ আর কতদিন? কতদিনইবা চলবে একনায়ক তন্ত্রের পুলিশি গুন্ডারাজ ? ঠিক এই অভিযোগই করে সোমবার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্যের লড়াকু ছাত্রনেতা সম্রাট রায়।
উল্লেখ্য, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কারণে সামাজিক ব্যবস্থার পাশাপাশি অচল হয়ে রয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। সম্প্রতি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ছাত্রনেতা সম্রাট রায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সোমবার রাজধানীর সার্কিট হাউসের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অহিংস ভাবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আন্দোলনে শামিল হয়। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিধানসভায় যাওয়ার সময় সম্রাট রায়কে আন্দোলনরত অবস্থায় দেখে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আন্দোলনকারীদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ ছাত্রনেতার। শ্রী রায় জানান, গ্ৰেপ্তারের কারণ জানতে চাইলে উওর আসে উপর মহলের চাপ আছে। কিন্তু কে এই উপর মহল কিসের কারণেই বা চাপ এর উত্তর পাওয়া যায় না পুলিশ বাবুদের মুখে বলে জানান সম্রাট রায়। গ্ৰেপ্তারী বরণ করে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আন্দোলনকারীদের নেতা সম্রাট রায়। সম্রাট রায় সরকারের প্রতি তীব্র নিন্দা যানিয়ে বলেন, রাজ্যে ফ্যাসিস্ট সুলব সরকার চলছে তাই সরকার অহিংস আন্দোলন কে ভয় পাচ্ছে। ভয় পাচ্ছে সরকারের অকেজো জনগণ বিরোধী নীতি গুলির বিরুদ্ধে প্রশ্ন কারীকে। তাই আজ এই অহিংস আন্দোলনকে পুলিশি গুন্ডামীর দ্বারা স্তব্ধ করতে চাইছে। কিন্তু সম্রাট রায় করা হুশিয়ারি দিয়ে সাফ যানিয়ে দেন যে এই ভাবে পুলিশ দ্বারা জনগণের আন্দোলনকে রোখা যাবে না। যদি আন্দোলনের দাবি মানা না হয় তাহলে আরো তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে রাজ্যে জুরে। এই ভাবে সরকার এহেন কাজের সমলোচনায় সবর হন ছাত্রনেতা সম্রাট রায়।