বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৪ জানুয়ারি || শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতাল চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে অনেক উন্নত। এই জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ অজয় পাল, ডাঃ পুস্পল চৌধুরী, ডাঃ প্রসনজিৎ দাস ও ডাঃ শান্তুনু দাস প্রতিনয়ত ভগবানের রূপে রোগীদের নতুন করে জীবনদান করে বাঁচার পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন। জেলা হাসপাতাল সঠিক ভাবে পরিচালনা করেছেন ডাঃ জে এস রিয়াং। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচী করতে দেখা যায়।
এরইমধ্যে যুব সমাজকে নেশার করল গ্রাস থেকে মুক্ত রাখতে ও শারিরিক বিকাশে খেলাধূলার গুরুত্ব বোঝানোর লক্ষ্যে ডাঃ অজয় পালের প্রচেষ্টায় ২৩’শে জানুয়ারীর মহান দিনে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে নারাইফাং স্কূল মাঠে এক বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। বর্তমান যুবসমাজ নেশার করলগ্রাসে আশক্ত হয়ে পরছে। নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনে খেলাধূলা একান্ত প্রয়োজন। বর্তমান যুবসমাজ খেলাধূলায় অংশগ্রহণ না করে মোবাইলের অনলাইন গেইমে আশক্ত হয়ে পরছে। তাই এইসকল নেশা থেকে যুবসমাজকে মুক্ত রাখতে ও সকলের শারিরিক বিকাশে এই ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। চিকিৎসকরা সর্বাদ রোগীদের পরিষেবা প্রদান করে। সকলে পরিবারের লোকজনদের রেখে নিজ নিজ কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন। এই ক্রিকেট ম্যাচের মাধ্যমে সকলে একত্রিত হয়ে শারিরিক চর্চা হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসক। চিকিৎসকদের দ্বারা আয়োজিত এই ক্রিকেট ম্যাচে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, শান্তিরবাজার পূর্ত দপ্তরের এস ডি ও প্রবীর বরণ দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবাশীষ ভৌমিক, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুশেন বৈদ্য সহ অন্যান্যরা। এই খেলার ফলাফলে ফেরারী এভেঞ্জার ১৫ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৯১ রান করেছে। অপরদিকে ফিয়ারলেস ফেলকন ১৩ ওভার ৩ বলে ৫ উইকেটের বিনিময়ে জয়লাভকরে। জয়ীপ্রার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দিলো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রীত অতিথিরা। এই ক্রিকেট ম্যাচের গুরুত্ব সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন ডাঃ অজয় পাল। সকলকে এই ধরনের বিশেষ উপহার দেওয়ার জন্য ডাঃ অজয় পালকে সকলে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।