সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ২৪ জানুয়ারি || দেশ মাতৃকার সাহসী সন্তান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম বার্ষিকীতে অবরুদ্ধ গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজার। একদিকে সাতসকাল থেকে যখন মহকুমার সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ত্রিবর্ন রঞ্জিত জাতীয় পতাকা তুলতে সাধারণ নাগরিকরা ব্যস্ত তখন মহকুমার পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবরোধকারীদের সরিয়ে অবরুদ্ধ গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারকে স্বাভাবিক করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। যদিও অবরোধকারীরা বিভিন্ন তর্ক বিতর্ক করার পর বেলা ১টায় অবরোধ প্রত্যাহার করে গন্ডাছড়া মহকুমাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন এডিসি ভিলেজের বিভিন্ন পথঘাট একেবারেই বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। তাছাড়াও বিভিন্ন এডিসি ভিলেজে রয়েছে পানীয় জলের তীব্র সংকট। অনিয়মিত বিদ্যুৎ। এই সমস্ত গ্রামীণ সমস্যাগুলির কথা বারবার মহকুমার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সাতসকাল থেকেই গন্ডাছড়া-অমরপুর সড়কের রামনগর বাজারে এবং গন্ডাছড়া-রইস্যাবাড়ী সড়কের পঞ্চরতন বাজারের পার্শ্ববর্তী হাতিরমাথার মুখে জনজাতি অংশের নারী পুরুষরা সম্মিলিত ভাবে পথ অবরোধে বসে। বৃহস্পতিবার ছিল গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারে সাপ্তাহিক হাটবার। গন্ডাছড়া বাজারে আসার মূল দুইটি রাস্তা অবরুদ্ধ হওয়ার ফলে অবরোধস্থলের দুই পাশে বহু যানবাহন এবং ক্রেতা বিক্রেতারা আটকে যায়। সংবাদ পেয়েই সংগঠিত দুইটি পথ অবরোধস্থলেই পৌঁছান প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। পথ অবরোধকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তর্ক বিতর্ক এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও অবরোধ প্রত্যাহার করানো সম্ভব হয়নি। পরিশেষে রামনগর বাজারের অবরোধস্থলে পৌঁছান মহকুমার ডুম্বুরনগর ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ চাকমা। বিকাশ চাকমার কাছ থেকে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি পেয়ে বেলা ১টায় পথ অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় অবরোধকারীরা। ২৩’শে জানুয়ারী নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম বার্ষিকীতে এই ধরণের আন্দোলনের নামে গন্ডাছড়া মহকুমাকে অবরুদ্ধ করার ঘটনাটিকে ভালো মনে নেয়নি বৃহত্তর অংশের লোকজন