গোপাল সিং, খোয়াই, ১২ জুলাই ।। জ্বালানীর সংকটে জেরবার রাজ্য। কখনো জ্বালানী লড়ি আসছে তো মুহূর্তেই ভিড় জমে যাচ্ছে পেট্রোল পাম্পে। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে বাইক-স্কুটি নিয়ে বলতে গেলে দিন রাতের সিংহ ভাগ কেটে যাচ্ছে জ্বালানীর সংগ্রহে। বেলা বাড়া আর রাত গড়িয়ে গেলেও এই দৃশ্যের পরিবর্তন নেই। ৪৪নং জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার ফলে যানবাহন চলার বেঘাত ঘটায় রাজ্যে পেট্রোল আনার ক্ষেত্রে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা মোকাবেলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পেট্রোল বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বিধি আরোপ আরোপ করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিন বাইক ও স্কুটিতে ২০০ টাকা, পেট্রোল চালিত অটো রিক্সায় ৩০০ টাকা এবং পেট্রোল চালিত গাড়ীতে ৫০০ টাকা করে পেট্রোল ঢোকানো যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া মাত্র এই নিয়ন্ত্রণ বিধি তুলে নেওয়া হবে। রাজ্যের প্রতিটি মহকুমার পাশাপাশি খোয়াইতেও দেখা দিয়েছে তীব্র জ্বালানী সংকট। রাজ্যের একাধীক মহকুমায় রেসনিং পদ্ধতি চালু করতে হয়েছে পেট্রোল ডিজেল দেবার ক্ষেত্রে। আবার এই রেসনিং ব্যাবস্থার মধ্যেও চলছে প্রচন্ড কালোবাজারি। যেমনটা হচ্ছে খোয়াইতেও। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে যেখানে পেট্রোল ডিজেল পাওয়া যাচ্ছেনা সেখানে খোলা বাজারে চড়া দামে পেট্রোল ডিজেল বিক্রয় হচ্ছে। যদিও খোয়াই অনবদ্য পেট্রোল পাম্প কতৃপক্ষ বলছে তাদের কাছে সীমিত জ্বালানী তেল রয়েছে। তবে পেট্রোল প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকলেও ড্রাফ্ট জমা করানো হয়েছে। প্রয়োজন হলেই পেট্রোল এসে যাবে পাম্পে। কিন্তু ডিজেলের সংকট রয়েছে। অনেকটা ক্ষোভের সুরেই কলেজ পড়ুয়া ছাত্র থেকে অটো চালক এবং বাইক চালক থেকে অন্যান্য যানবাহন চালকরা জানালেন তাদের নিজ নিজ প্রতিক্রিয়া। বললেন চুরাই পথে একাংশ অসাধু ব্যাবসায়ীদের কাছে ড্রাম ভর্তী পেট্রোল-ডিজেল পৌছে যাচ্ছে। আর লাইনে দাড়িয়ে পেট্রোল পাচ্ছেনা সাধারন মানুষ। আবার অনেক বাইক চালকের কাছেই অতিরিক্ত পেট্রোল মজুত আছে। কারন তারা বারবার লাইনে দাঁড়িয়ে পেট্রোল সংগহ করছে এবং এই পেট্রোলই খোলা বাজারে দেদার বিক্রি করা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে পেট্রোল পাম্পে পেট্রোল ডিজেল না থাকলেও খোলা বাজারে কি করে পেট্রোল ডিজেল আসছে। আর এই পেট্রোল ডিজেল বিক্রয় হচ্ছে ডাবল দামে। রাজ্যের রাজধানী সহ প্রায় প্রতিটি মহকুমাতেই চুড়ান্তভাবে জ্বালানী সংকট দেখা দিয়েছে। আর তার উপর দেদার চলছে কালোবাজারিতে পেট্রোল ডিজেলের ব্যাবসা। আসামের লুয়ারপোয়ায় যতদিন না জাতীয় সড়কের হাল ফিরছে ততদিন অবধি রাজ্যে রান্নার গ্যাস থেকে পেট্রোল-ডিজেল সংকট সহ খাদ্য-পন্য সংকট ঘুঁচছেনা।
