সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ২৮ ডিসেম্বর || ধলাই জেলার ডুম্বুরনগর ব্লকের অধীনস্থ ১৯টি এডিসি ভিলেজের রিট্রোফিটিং এর অর্ধকোটি টাকা নয়ছয়ের ঘটনা আমাদের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হতেই ঘুম উড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকজন ডুম্বুরনগর ব্লকে কর্মরত অফিসারদের। আমাদের প্রকাশিত সংবাদে কম্পন শুরু হয়েছে ব্লকে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ইং অর্থ বছরে ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার ডুম্বুরনগর ব্লকের ১৯টি এডিসি ভিলেজে প্রায় ১,৫০০ গরিব মেহনতি মানুষের বাড়িঘরে টয়লেটের পাশে রিট্রোফিটিং টেংকি নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ দেয়। ডুম্বুরনগর ব্লকের ১৯টি এডিসি ব্লকের নির্বাচিত বেনিফিসিয়ারীদের সংখ্যা এক হাজার পাঁচশো পরিবার। প্রতিটি রিট্রোফিটিং এর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪,৫০০টাকা। বিভিন্ন এডিসি ভিলেজ সূত্রের অভিযোগে জানা গিয়েছে, প্রতিটি এডিসি ভিলেজে ছিটেফোঁটা কাজ করা হয়েছে। ডুম্বুরনগর ব্লকের ১৯টি এডিসি ভিলেজে এক হাজার পাঁচশোটি রিট্রোফিটিং এর জন্য নির্দেশ থাকলেও মাত্র ৬৫০টির কাজ সম্পন্ন করে ১,৫০০টি রিট্রোফিটিং এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে খাতায় পত্রে মিলিয়ে এডজাস্টমেন্টে সিল মোহর বসিয়ে দিয়েছেন ব্লকের আধিকারিক, এমনটাই অভিযোগ ব্লকের একাংশ অফিসারদের। ডুম্বুরনগর ব্লকের একাংশ নিষ্ঠাবান আফিসাররা জানান যে, উক্ত রিট্রোফিটিং নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত খোদ ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার। রিট্রোফিটিং এর পুরো ঘটনার পুংখ্যানুপুংখ হিসাব করলে জানা যায়, ডুম্বুরনগর ব্লকে ওই রিট্রোফিটিং নির্মাণ কাজে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে অন্তত অর্ধকোটি টাকা হস্তগত বা পকেটস্ত করেছেন ডুম্বুরনগর ব্লকের বিডিও জয়দ্বিপ দেববর্মা। আমাদের সংবাদ প্রকাশ হতেই দৌড়ঝাপ এখন ডুম্বুরনগর ব্লকে।