মেয়েদের আপত্তিকর ছবি এবং ব্ল্যাকমেলিং এর ঘটনায় উত্তেজনা তেলিয়ামুড়াতে, জনতার হাতে আটক এক অভিযুক্ত

সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ২৯ ডিসেম্বর || মেয়েদের ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি এবং ব্ল্যাকমেলিং এর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে তেলিয়ামুড়া’তে। ঘটনায় সচেতন জনতার হাতে আটক এক অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্তে ওসি রাজীব দেবনাথের নেতৃত্বাধীন তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের নিষ্কর্মণ্য ভূমিকায় জনমনে চরম ক্ষোভ।
একাধিক সূত্রের অভিযোগ মূলে খবরে প্রকাশ, বিগত কিছুদিন যাবত তেলিয়ামুড়া এলাকা জুড়ে বেশ কিছু যুবতীর বা গৃহবধূর ব্যাক্তিগত জীবনের আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে তেলিয়ামুড়া থানা এলাকায় উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, তেলিয়ামুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র অম্পি চৌমুহনীতে স্টুডিও সুপ্রিম নামের কম্পিউটারের দোকানটি অবস্থিত হওয়াতে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে আমজনতা অনেক মানুষই বিভিন্ন ছবি সহ নানা প্রকার কম্পিউটারের কাজের জন্য আসে এই দোকানের। অভিযোগ এই সুযোগ’কে কাজে লাগিয়ে ওই দোকানের কর্মচারী নির্মল সূত্রধর লোকের মোবাইল ফোন থেকে ছবি নেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে থাকা বিভিন্ন ব্যাক্তিগত এবং আপত্তিকর ছবি নিজের কাছে কায়দা করে সংরক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে সেই ছবি এবং ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে।
এরই মধ্যে এক পিরীতার পরিবারের লোকজন এমনই একটি বিষয় নিয়ে ঘটনা ঘটার দুই থেকে তিন দিন পর সামাজিক মাধ্যমে ছবি ভাইরালের ঘটনা জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ তেলিয়ামুড়া থানার দারস্ত হলে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ দায়সারা মনোভাব নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। থানায় অভিযোগ করার চার থেকে পাঁচ দিন গড়িয়ে গেলেও পুলিশ যখন তদন্তে একেবারেই ব্যার্থ প্রমাণিত হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত শনিবার একপ্রকার বাধ্য হয়ে পিরীতার পরিবারের লোকজন সহ এলাকার একাংশ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন যুবকেরা নিজেদের ব্যাক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করে জানতে পারে আসলে গোটা ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড স্টুডিও সুপ্রিমের কর্মচারী নির্মল সূত্রধর। যখন তারা এই সূত্র ধরে কম্পিউটার এক্সপার্ট নিয়ে ওই দোকানে হানা দেয়, তখন স্টুডিও সুপ্রিমের কর্মচারী নির্মল সূত্রধরের কম্পিউটারে তল্লাশি চালিয়ে এই ধরনের বহু আপত্তিকর ছবি উদ্ধার করতে সফল হয়। তৎক্ষণাৎ এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় তেলিয়ামুড়া থানায় এবং পরবর্তীতে উত্তম মধ্যম দিলে সে নিজ মুখে স্বীকার করে গোটা ঘটনার পেছনে সে জড়িত। শেষ পর্যন্ত তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশকে খবর দিলে নির্লজ্জের মত তেলিয়ামুড়া থানার ব্যার্থ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত নির্মল সূত্রধর’কে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে যায়।
এখন প্রশ্ন হল, এক্ষেত্রে তেলিয়ামুড়া থানার ওসি রাজীব দেবনাথের নেতৃত্বাধীন মাথা ভারী খাকি বাহিনীর ভূমিকা কি? ঘটনার দুই থেকে তিন দিন পর তেলিয়ামুড়া থানায় ঘটনা সম্পর্কে জানানো হলেও কেন নড়েচড়ে বসেনি পুলিশ? উঠছে প্রশ্ন।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*