গোপাল সিং, খোয়াই, ৩০ মে ।। পরিকাঠামো উন্নয়ন না করেই রাজ্যের উপজাতি কল্যানমন্ত্রীর হাত ধরে বুধবার থেকে পথ চলা শুরু করল ‘মঙ্গলচন্দ্র দেববর্মা স্মৃতি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র’টি। কিন্তু এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেটি উদ্বোধন সাক্ষী হয়ে রইল কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের। এর মধ্যে প্রথমেই উল্লেখনীয় বিষয় হচ্ছে নব নির্মিত ভবনের নিম্নমানের কাজ। মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা যেখানে ভাষন রাখলেন ঠিক এক সিঁড়ি নিচেই বড় রকমের ফাটল সব ধরনের ক্যামরাকেই আকৃষ্ট করে এদিন। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের শুরুর দিনই যদি এই অব্যবস্থা হয় তবে বাকী দিনগুলিতে কি হবে এই ভবনটির? দেখা যায় মান্ধাতা আমলের যন্ত্রাংশ ও বহু পুরনো ইঁদুরে কাটা-ছেঁড়া ব্যনার ফ্যাস্টুন লাগিয়েই দায়সারাভাবে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির উদ্বোধন সেরে নেয় আয়োজকরা। তাছাড়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী তথা আশারামবাড়ী কেন্দ্রের বিধায়ক অঘোর দেববর্মা বেহালাবাড়ী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি যখন পরিদর্শন করেন তখন দেখা গেল হাসপাতালের ভেতরের নিম্নমানের পরিষেবার বাস্তব চিত্র।
কিন্তু তার চাইতেও মারাত্মক বিষয় যা সবার নজর না কাড়লেও, সবাইকে অবশ্যই ভাবাবে। দুটি অনুষ্ঠানই হাসপাতালের অভ্যন্তরে লাউড স্পিকার বাজিয়ে সম্পন্ন হয় এদিন। বেহলাবাড়ী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য এম্বুল্যান্স প্রদান অনুষ্ঠানেও দেখা গেল সেই একই দৃশ্য। উদ্বোধনী সঙ্গীত সহ মন্ত্রী, মহকুমা শাসক এবং এমডিসি ভাষন রাখলেন উচ্চস্বরে। নিয়মানুবর্তিতাকে চুলোয় দিয়ে উপজাতি কল্যান মন্ত্রী কষ্টের কারন হয়ে উঠলেন হাসপাতালে ভর্ত্তি মুমুর্ষ রোগীদের। উচ্চস্বরে লাউড স্পিকার বা মাইক বাজিয়ে ঢাকঢোল পেটানো জমকালো অনুষ্ঠান কাদের জন্য? নাকি জনস্বার্থ চুলোয় দিয়ে মন্ত্রী নিজের ঢাকঢোল পেটাতেই এলাকায় পারি জমান। তাতে রোগীদের কি আসে-যায়, তাতে উনার কি? অন্তত এই ক্ষোভের সুরই শুনা গেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত আম জনতাদের মধ্যে।