গোপাল সিং, খোয়াই, ১৩ এপ্রিল || খোয়াই জেলার চেবরি পেক্নিছড়া এলাকায় প্রায় কুড়ি বছর ধরে ক্রমাগত নদী ভাঙনের শিকার হয়ে আসছে প্রায় দুই থেকে আড়াইশো পরিবার। প্রতিবছর বর্ষা ও বন্যার সময় পেক্নিছড়া নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকে, আর তাতে এই কৃষিনির্ভর এলাকার মূল্যবান কৃষিজমি থেকে শুরু করে বসতবাড়িও এখন নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার মুখে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই দীর্ঘ সমস্যা নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত সবাইকে জানানো হয়েছে, তবুও স্থায়ী কোনো সমাধান এখনও চোখে পড়ছে না। প্রতি বছর কিছু অস্থায়ী কাজ হলেও প্রকৃত স্থায়ী নদীবাঁধ বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এলাকাবাসীরা বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কৃষি জমি নদীতে তলিয়ে যাবে। আমরা চাই টেকসই নদীবাঁধ এবং দ্রুত কাজের বাস্তবায়ন।” অন্যদিকে, খোয়াই ওয়াটার রিসোর্স দপ্তরের আধিকারিক পার্থ প্রতিম রায় জানিয়েছেন, “এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আগেই এলাকার বিধায়ক, খোয়াই ব্লকের চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানকে নিয়ে এলাকা ঘুরে দেখেছি। নদীভাঙন রোধে ইস্টিমেট তৈরি হয়ে গেছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবারই কেবল ইস্টিমেট তৈরি হয় বা পরিদর্শন হয় — কিন্তু কাজের বাস্তব রূপ দেখা যায় না। নদীর পাড়ে কোনো সুরক্ষামূলক বাঁধ না থাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতি বছরই বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। এই নদীভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে শুধুমাত্র কৃষি ক্ষতি নয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ও নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।