দেবজিৎ চক্রবর্তী, আগরতলা, ০৫ নভেম্বর ।। এই রাজ্যের ক্রীড়া মোদী মানুষ খেলাধুলাকে যেমন ভালোবাসে তেমনি কীর্তিমানের কীর্তিতে যথাযোগ্য সন্মান জানাতে কতদূর উদ্বেল হয়ে উঠে তার আরো একটা দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল ৫ই নভেম্বর ২০১৫ ইংরেজী তারিখে। পাহাড় ভেদ করে যে রাজ্যে সকালের সূর্য উদিত হতেও একটু বাড়তি সময় নেয় সেই রাজ্যেই যুগযুগান্তরে এমন সব কীর্তিমান জন্ম নিয়েছে যাঁদের শৌর্যের দৌলতে দেরীতে উঠা সূর্যের রাজ্যে অসময়েই সূর্য কিরণে স্নাত হয়েছে পাহাড় সমতলের বিস্তীর্ণ প্রান্তর। রাজ্যের মানুষ যখুনই এই রাজ্যের ক্রীড়াবিদরা অসামান্য সাফল্য পেয়েছেন তাৎক্ষনিক ভাবেই মেতে উঠেছে আনন্দ অবগাহনে – ঠিক যেমনটা দেখা গেছে ৫ই নভেম্বর ২০১৫-র বৃহস্পতিবার দীপা কর্মকার আর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী যখন গ্লাসগো থেকে আকাশে আকাশে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে বিমান আগরতলার মাটি স্পর্শ করেছে। হুড খোলা গাড়ীতে শহর পরিক্রমার সময় অগুনিত মানুষ দীপাকে একবার দেখার উচ্ছাস চেপে রাখতে পারেনি, যারা দীপাকে কোনদিন দেখেন নি এক দর্শনেই সাধ পূরণ করেছেন সঙ্গি ছিলেন দীপার গুরু বিশ্বেশ্বর নন্দী। বাইক র্যালী যে পথে গিয়েছে সেখানেই মানুষ ভীড় জমিয়েছেন। গ্লাসগোতে বিশ্বের সেরা জিমনাষ্টদের সঙ্গে সমানে লড়াই চালিয়ে দীপা প্রমান করেছে প্রতিভা আর দক্ষতায় কোনো অংশেই কম নয়। অলিম্পিকের ছাড়পত্র আদায়ের কঠিন যুদ্ধে দীপা দাঁতে দাঁত চেপে অদম্য মানসিকতাকে পুঁজি করে যুদ্ধে নেমে যে Performance করেছে একেবারে অনবদ্য, তুলনাহীন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে কোনো মহিলা জিমনাষ্ট এর এই কীর্তি এই প্রথম রচিত হয়েছে যার দৌলতে সেই দীপা কর্মকার এই পাহাড়ী রাজ্যের স্বভাবতই রাজ্যের মানুষের উচ্ছাসের মাত্রা লাগামহীন। খুব কাছে গিয়েও ফিরে আস্তে হয়েছে এ দেশের ১ নম্বর মহিলা জিমনাষ্টকে – হাল ছেড়ে দিয়ে নয় দীপাই বলেছে এই ঘটনাই আগামীতে আরো বড় বিজয়ের অনুপ্রেরনা যোগাবে। দীপা কর্মকারকে এই দুর্দান্ত কীর্তির জন্য রাজ্যের মানুষের সঙ্গে আগামীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছে “নিউজ আপডেট অব ত্রিপুরা ডট কম”।